অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সরকার রাজস্ব আয় বৃদ্ধির স্বার্থে উপজেলা পর্যায়ে আরও ১০৩টি আয়কর অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মিসেস আমিনা আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আয়কর অফিস স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে দেশের ৭টি বিভাগে রাজস্ব সম্ভাবনাময় ৩৭টি উপজেলায় আয়কর অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আয়কর হলো সর্বোত্তম কর ব্যবস্থা, এতে আয়ের অনুপাতে কর হার বৃদ্ধি পায়, যা সম্পদের সুষম বন্টনে মূল্যমান অবদান রাখে। বর্তমানে এ উৎস থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মোট রাজস্বের ৩৭ শতাংশ। এ হারকে ২০২০-২০২১ সালে মোট রাজস্বের ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে আয়কর থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালের মধ্যে কর জিডিপি’র অনুপাত ১৫ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আয়কর বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিগত সরকারের অপেক্ষা প্রায় ৪ লাখের অধিক রিটার্ণ দাখিল করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রথম ৯ মাসে ৯ লাখ নতুন করদাতা নিবন্ধন গ্রহণ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আয় বাড়ানোর মাধ্যমে দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদায় উন্নীত করতে দেশের অভ্যন্তরীন সম্পদ আহরণ ব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিচালনা ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজস্ব বোর্ডের জনবল দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়েছে। ২০০৯ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনবল ছিল ১৩ হাজার ২৯৮ জন। ২০১৩ সালে তা দাঁড়ায় ২২ হাজার ৫৭ জনে।