কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে মা ও মেয়েকে একসঙ্গে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শয়নকক্ষ থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার টাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নাজমা খাতুন (৪০) ও তার মেয়ে জোসনা খাতুন।
মেয়ে জোসনা খাতুন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে বলে জানা গেছে।
নিহত নাজমা খাতুন টাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের আহসান আলীর মেয়ে। তিনি আব্দুর রফিকের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। নাজমার আগে বিয়ে হয়েছিল এবং জোসনা খাতুন ওই ঘরের মেয়ে।
নাজমা খাতুনের মা রাবেয়া বেগম বলেন, “আগের স্বামী যৌতুকের জন্য নাজমাকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে পাঁচ বছর আগে নাজমার বিয়ে দেওয়া হয় একই উপজেলার বদরপুর নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুর রফিকের সঙ্গে। নাজমা খাতুন হলেন রফিকের দ্বিতীয় স্ত্রী। এ কারণে আমার বাড়িতে নাজমা বসবাস করত। ”
রাবেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, “ওই দিন সন্ধ্যায় আব্দুর রফিক বাড়িতে আসেন। রাত ১টার দিকে ঝড়ের সময় সে তার স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে পালিয়ে যায়। ” রাজীবপুর থানার ওসি পৃথীশ কুমার সরকার বলেন, “প্রাথমিকভাবে যেটা জানা গেছে তাতে মা-মেয়ে দুইজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ”