বাবা-মেয়ের আত্মহত্যা; সকালে গ্রেপ্তার, বিকেলে ছাড়িয়ে নিলেন বাদী

Slider গ্রাম বাংলা
 2c22120313553451b5cce7d6f109827c-59083719788e1
গাজীপুর; বাবা-মেয়ের আত্মহত্যাগাজীপুরের শ্রীপুরে বাবা-মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় আরও এক আসামিকে আজ বুধবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকেলে ওই আসামিকে ছাড়িয়ে নেন মামলার বাদী। কারণ, নামের মিল রয়েছে কিন্তু তিনি এ মামলায় আসামি নন।শ্রীপুরের কর্ণপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি হলেন মো. সাহিদ (৪৫)। বাবার নাম নাজির উদ্দিন। বাড়ি উপজেলার কর্ণপুর গ্রামে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আজ ভোররাতে কর্ণপুর ছিটপাড়া গ্রাম থেকে সাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এ সাহিদ আসামি সাহিদ নন। একই গ্রামে দুজন সাহিদ আছেন। মামলার এজাহারে বাবার নাম ছিল না। যার কারণে কোন সাহিদ তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলার বাদী হালিমা বেগম থানায় এসে সাহিদকে শনাক্ত করেন। এই সাহিদ মামলায় থাকা সাহিদ নন। তাই সাহিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাবা-মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হন স্থানীয় গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ইতিমধ্যে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার সকালে শ্রীপুর রেলস্টেশনের পশু হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকায় আট বছরের পালিত কন্যা আয়েশা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মঘাতী হন কর্ণপুর ছিটপাড়ার দিনমজুর হযরত আলী (৪৫)।

বাবা ও মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় ফারুক হোসেন, আবদুল খালেক, বোরহানউদ্দীন, আবদুল হামিদ, মো. সাহিদ, ফাইজুদ্দীন ও আবুল হোসেন ব্যাপারীকে আসামি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *