শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আজ ভোররাতে কর্ণপুর ছিটপাড়া গ্রাম থেকে সাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এ সাহিদ আসামি সাহিদ নন। একই গ্রামে দুজন সাহিদ আছেন। মামলার এজাহারে বাবার নাম ছিল না। যার কারণে কোন সাহিদ তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলার বাদী হালিমা বেগম থানায় এসে সাহিদকে শনাক্ত করেন। এই সাহিদ মামলায় থাকা সাহিদ নন। তাই সাহিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাবা-মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হন স্থানীয় গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ইতিমধ্যে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার সকালে শ্রীপুর রেলস্টেশনের পশু হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকায় আট বছরের পালিত কন্যা আয়েশা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মঘাতী হন কর্ণপুর ছিটপাড়ার দিনমজুর হযরত আলী (৪৫)।
বাবা ও মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় ফারুক হোসেন, আবদুল খালেক, বোরহানউদ্দীন, আবদুল হামিদ, মো. সাহিদ, ফাইজুদ্দীন ও আবুল হোসেন ব্যাপারীকে আসামি করা হয়।