দুই সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা হলে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা বাড়বে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই নির্দিষ্ট আয়ের পরিবার থেকে আসা। অনেকেই আবার শিক্ষা ব্যয় নির্বাহের জন্য খণ্ডকালীন চাকরি বা প্রাইভেট টিউশনি করান। দুই সেমিস্টার পদ্ধতি হলে শিক্ষা ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অনেকেরই ঝরে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্টিদের মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) এই সভার আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী ও রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নেওয়া সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাও কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দুই সেমিস্টার পদ্ধতি প্রচলনের আগে ভেবে দেখা উচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে তা বাস্তবায়ন করা কতখানি সম্ভব। ‘
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠান। তাতে তিনি বলেন, যাদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমে সময় ব্যয় করাটা অর্থনৈতিকভাবে বোঝা সেই সব শিক্ষার্থীর জন্য তিন সেমিস্টার অত্যন্ত উপযোগী। উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গেও এই সিস্টেমই সংগতিপূর্ণ। দুই সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের বেশি পরিমাণে ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হয়। যেই পদ্ধতি শ্রেয়তর বলা যুক্তিসংগত নয়। ‘
এপিইউবির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল বেনজীর আহমেদ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. ফরাসউদ্দিন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ভাইস চেয়ারম্যান ড. কাজী আনিস আহমেদ, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইউ এ কবির প্রমুখ।