ধর্মীয় আলেমদের বিরোধিতা সত্ত্বেও কোনো একদিন সিনেমা হল নির্মাণ করবে সৌদি আরব! কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্বমানের সিনেমা হল নির্মাণ করবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দেশটিতে সিনেমা হল নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল এ-সংক্রান্ত কমিটি।
১৯৭০ এর দিকে দেশটিতে কিছু সিনেমা হল ছিল। কিন্তু ধর্মীয় নেতারা সেগুলো বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করেন। এর পর থেকে সৌদি আরবে এখনো সিনেমা ও সিনেমা হল নিষিদ্ধ রয়েছে।
এর আগে গত বছর দেশটিতে যখন কনসার্ট শুরু হয়, তখনো ধর্মীয় আলেমরা সেটির বিরোধিতা করেন। কিন্তু গত বছর ‘ভিশন ২০৩০’ নির্ধারণের মাধ্যমে সৌদি সরকার দেশটির সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দেন।
দেশটির জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির (জিইএ) চেয়ারম্যান আহমেদ আল খতিব রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, যেসব রক্ষণশীলরা বিনোদন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর সমালোচনা করেছিলেন তাঁরা এখন ধীরে ধীরে এসব বিষয়ে শিখছেন। এখন অনেকেই পরিবর্তন চাচ্ছেন।
আল খতিবের লক্ষ্য ছিল এমন বিনোদন ব্যবস্থা তৈরি করা যেটি লন্ডন, নিউ ইয়র্কের মতো হবে। যদিও তিনি লক্ষ করেছিলেন যে দশকের পর দশক সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতার পরিবর্তন দ্রুত হয়নি।
আহমেদ আল খতিব বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই বাদানুবাদে আমরা জয়ী হব। সৌদির কিছু মানুষ স্বাধীন, কিছু রক্ষণশীল, কিন্তু অধিকাংশই মধ্যপন্থী। ‘
জিইএর চেয়ারম্যান আরো বলেন, হিসাব করে দেখা গেছে সৌদির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ ভ্রমণ করে, সিনেমায় যায়, কনসার্টে যায়। আর রক্ষণশীলরা ঘরে বসে থাকে।