জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক যোদ্ধার বিষয়ে তদন্তর ভার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে ওই আইএস যোদ্ধার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) নারী কর্মকর্তা ড্যানিয়েলা গ্রিন। এমনকি সম্পর্কটা বিয়ে পর্যন্তও গড়ায়।
ভাষাবিদ হিসেবে ২০১১ সালে এফবিআইতে যোগ দেন ড্যানিয়েলা গ্রিন। এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে একজন আইএস যোদ্ধার বিষয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই বছরের জুনে গ্রিন সিরিয়ায় যান। সেখানে গিয়ে এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন তিনি।
এরপর ২০১৪ সালের আগস্টে সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসেন গ্রিন এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরে দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছরের সাজা হয় তাঁর। কারাভোগের পর ২০১৬ সালের আগস্টে মুক্তি পান গ্রিন।
গ্রিন বর্তমানে একটি হোটেল লাউঞ্জে অতিথিসেবক হিসেবে কর্মরত আছেন। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রিন বলেছেন, তাঁর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি ভীত ছিলেন।
সিএনএন জানায়, বিয়ের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৩৮ বছর বয়সী গ্রিন উপলব্ধি করতে পারেন যে তিনি ভয়ানক ভুল করে ফেলেছেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসেন। তখন দ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ার দায়ে গ্রিনের দুই বছরের সাজা হয়। গত গ্রীষ্মে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
গ্রিন বলেন, ‘যদি আমি আপনার সঙ্গে কথা বলি তাহলে আমার পরিবার বিপদে পড়বে। ‘ তিনি এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
ড্যানিয়েলা গ্রিন জুলাইয়ে সিরিয়া থাকা অবস্থায় লেখেন, ‘আমি দুর্বল ছিলাম এবং আমি বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করব। আমি একটি জগাখিচুড়ি অবস্থা সৃষ্টি করেছি। আমি শেষ হয়ে গেছি এবং আমি ফিরতে পারব না। আমি কঠোর অবস্থার মধ্যে রয়েছি, জানি না এখানে কতদিন টিকতে পারব। ‘ তিনি আরো লেখেন, ‘যদি আমি ফিরে আসি তাহলে হয়তো দীর্ঘদিনের জন্য আমাকে কারাগারে যেতে হবে। কিন্তু এটাই জীবন। আশা করছি, আমি একদিন ফিরতে পারব। ‘