ভোলা প্রতিনিধি ; টর্নেডোর আঘাতে ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা উপজেলার মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রাবাস বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার গভীর রাতে টর্নেডো আঘাত হানে সেখানে। এ সময় ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতরা মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঝড়ে বিধ্বস্ত ছাত্রাবাসের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, ছাত্রাবাসটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে। ১৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২১ ফুট প্রস্থ আধা-পাকা টিনের ছাত্রাবাসটির ১০টি কক্ষ সম্পূর্ণ ভেঙে দুমড়েমুচড়ে যায়। গাছের সঙ্গে টিনের চালা আটকে থাকতে দেখা গেছে। ছাত্রদের টেবিল, চেয়ার, বই, আসবাবপত্র সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। ঝড়ের আঘাতে রসায়ন বিভাগের প্রভাষক প্রবীর কুমার মুখার্জী ও ছাত্রদের মধ্যে মো. হৃদয়, পার্থ সারথী ঘোষাল, মো. হাবিবুল বাশার, কালু মজুমদার, শিপন চন্দ্র দাস, ঠাকুর চন্দ্র দাস, শিমুল চন্দ্র দাস, সজল চন্দ্র দাস ও প্রসাদ চন্দ্র দাস আহত হয়েছেন।
আহত শিক্ষক প্রবীর কুমার মুখার্জী জানান, সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি ছাত্রবাসে ঘুমোচ্ছিলেন। এ সময় টর্নেডোর আঘাতে টিনের ঘর কাঁপতে দেখে খাটের ওপর ওঠে বসেন তিনি। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে যায়। ছাত্ররা চিৎকার করতে থাকে। তিনি ও ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্ররা আহত হন। এ সময় কলেজের শিক্ষক বিপ্লবের ১০ হাজার টাকা বাতাসে উড়ে যায়। অনেকের মোবাইল ফোন, বই-খাতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাত্র এক মিনিট স্থায়ী টর্নেডোর আঘাতে কলেজের একমাত্র ছাত্রবাসটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষক ও ছাত্ররা আহত হয়েছেন। তাদের বই-খাতা বাতাসে উড়ে গেছে। কয়েকজন ছাত্রের বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। তিনি দ্রুত ছাত্রাবাসটি মেরামত করে ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
টর্নেডোর আঘাতে উপজেলার উত্তর চরফৈজুদ্দিন নুরানী ও কওমি মাদ্রাসার কিতাবখানার টিনের চালও উড়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।