ফেসবুকের নিরাপত্তা দল গতকাল বৃহস্পতিবার একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে ভূরাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা যে সূক্ষ্ম কৌশল ব্যবহার করছে, তার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। ‘মিথ্যা খবর’ ছাড়াও কনটেন্ট সিডিংসহ এসব কৌশলের মধ্যে রয়েছে, সুনির্দিষ্ট মতকে শক্তিশালী করতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে অবিশ্বাস তৈরি করা ও বিভ্রান্তি ছড়ানো।
ফেসবুক বলেছে, প্রচলিত অনৈতিক আচরণ যেমন অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ম্যালওয়্যার, স্প্যাম, অর্থ কেলেঙ্কারি এবং নাগরিক মতকে ব্যবহার ও মানুষের সঙ্গে প্রতারণাসহ আরও সূক্ষ্ম ও চাতুর্যপূর্ণ অপব্যবহার রোধে নিরাপত্তার প্রতি নজর বাড়াতে হবে আমাদের।
‘তথ্য অভিযান’ বন্ধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ফেসবুক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ফ্রান্সের ৩০ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে। ফেসবুক জানিয়েছে, এই বন্ধের তালিকায় প্রাধান্য পেয়েছে বিপুল পরিমাণ পোস্ট দেওয়া সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এই তথ্য অভিযানের প্রকৃতি নির্ধারণে ‘কতিপয় পরিস্থিতিকে’ কীভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে—তার ব্যাখ্যা দিয়েছে ফেসবুক। ওই সময় ‘সুনির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত’ করতে অন্য সূত্রগুলো যেমন ই–মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি করা তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয় বলে ফেসবুক শনাক্ত করে। এ কৌশলের মধ্যে রয়েছে চুরি করা তথ্য প্রকাশের জন্য একটি ওয়েবসাইট খোলা এবং তারপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ও পেজ খুলে মানুষকে ওই ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণার চেয়ারম্যান জন পোডেস্টারের জিমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাক হওয়া লাখ লাখ ই–মেইল প্রকাশ করে উইকিলিকস। তবে চুরি করা কোন তথ্যের বিষয়টি ইঙ্গিত করা হয়েছে, ফেসবুক তা সুনির্দিষ্ট করেনি।