গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে প্রেমের নামে অবৈধ ভাবে দৈহিক মেলামেশা করে কিশোরীকে সাড়ে ৫ মাসের অন্তসত্তা করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় সামাজিক ভাবে বিচার না পেয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দরিদ্র পরিবারের ওই মেয়ে। কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
অন্তসত্তা ওই কিশোরী অভিযোগ বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রতিবেশী সোহরাফ মৃধার ছেলে ও এক সন্তানের জনক সুমন মৃধা প্রেমের কথা বলে আমার সাথে দৈহিক মেলামেশা করে। কিছু দিন পর আমি অন্তসত্তা হয়ে পড়লে সুমনকে বিষয়টি জানালে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এ কথা এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে সুমন তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এরপর থেকে সে আমার সাথে আর কোন ধরণের যোগাযোগ রাখেনী।
মেয়েটি আরো বলে, এখন আমার পরিবার ও এলাকার লোকজন বিষয়টি জেনে গেছে তাই সুমনের স্ত্রী হওয়া ছাড়া আমার এখন বাঁচার কোন উপায় নেই।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা, বিষয়টি সুমনের পরিবারকে জানালে বিচারের নামে কালক্ষেপন করতে করতে ওই কিশোরী এখন সাড়ে ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে নিজ অধিকার ও অনাগত সন্তানের সামাজিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে এবং স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠক করেও কোন সমাধান পায়নি অসহায় কিশোরীর পরিবার।
ওই কিশোরীর বাবা আব্দুল মালেক মোল্যা বলেন, যে আমার মেয়ের এ সর্বনাশ করেছে, আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুমন মৃধার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সুমন মৃধার বাবা সোহরাফ মৃধা বলেন, ছেলের সাথে আমার প্রায় দীর্ঘ ৩ মাস কোন যোগাযোগ নেই। আমার ছেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে যদি ডিএনএ টেষ্টে প্রমাণিত হয়। তাহলে আমার পুত্রবধূ হিসেবে তাকে (কিশোরীকে) মেনে নেব।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলীনুর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আদালতে অভিযোগ হাতে পৌছলে ডিএন টেষ্টের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।