আবদুল মঈন খান বলেন, ‘একই সঙ্গে তাঁকেও (হাছান মাহমুদ) ধন্যবাদ জানাই। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি বিরোধী দলহীন যে নির্বাচন হয়েছে, আসলে ওই নির্বাচনটি সঠিক হয়নি। তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন বলেই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। আমি মনে করি, রাজনীতিতে এটাই সঠিক পথ।’
এর জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাঁর যে উপলব্ধি, তা সঠিক নয়। আমি মনে করি, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তাঁরা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পেরেছেন, গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাটা তাঁদের ভুল ছিল।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘পৃথিবীর সবদিকে নারীর ক্ষমতায়নের ঢেউ চলছে। নারীর ক্ষমতায়নে আমরা অত্যন্ত সচেতন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দেশে প্রথম নারী সেনা অফিসার, পুলিশ অফিসার, জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন। আমি গর্বের সঙ্গে বলছি, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো কাজ করছে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদা রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘নারীদের মূল্যায়ন অনেক সময় করা হয় না। সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন না। নারী ক্ষমতা দেখাতে পারেন যখন তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে নারী ক্ষমতায়ন শুরু করে যার সুফল আমরা এখনো দেখতে পাই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবদুল মঈন খান বলেন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাঁদের ক্ষমতায়ন করতে। আসলে ক্ষমতায়ন হলো, না উল্টো হলো? এই সংরক্ষিত পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নারীদের মূলধারার রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত মূলধারায় যুক্ত করা হবে, ততক্ষণ সংরক্ষিত আসন নারী ক্ষমতায়নে কোনো কাজ হবে না। নারীদের সঠিক রাজনৈতিক অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান বলেন, দেশের রাজনীতিতে সহনশীলতার অভাব আছে। এটা জাতীয় অসদাচরণ। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতির পরিবেশ উন্নত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি ডিরেক্টর কেটি ক্রোক, ইউএসএইডের ডেমোক্রেসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট অফিসের ডিরেক্টর কেভিন ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য দেন।