২০৫০ সালে বাংলাদেশে শিশুর চেয়ে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হবে ২০ শতাংশ এবং শিশুর সংখ্যা হবে ১৯ শতাংশ ।
বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেন রয়েছে। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ প্রবীণদের সংখ্যা হবে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ। ২০৫০ সালে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি এবং ২০৬১ সালে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি প্রবীণ জনগোষ্ঠী।
‘প্রবীণ বন্ধু’র নির্বাহী পরিচালক ডা. মহসীন কবির লিমন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এইসব তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সরকার দেশের ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে বয়স্ক ভাতা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার প্রায় ১ হাজার ৮শ’৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে মনে করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আগামী ২০৫০ সালে শিশুর চেয়ে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা এক শতাংশ বেশি হবে। ওই সময়ে শিশুর সংখ্যা হবে ১৯ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা হবে ২০ শতাংশ। পৃথিবীর সব দেশেই সিনিয়র সিটিজেনের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে এবং তাদের অসহায়ত্বও বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি এবং মানুষের নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার কারণে মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশে সাধারণত যাদের বয়স ৬০ বছর তারাই প্রবীণ ব্যক্তি।
তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসাধারণ সাফল্যে বর্তমান বিশ্বে মানুষ প্রায় ১২০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেন। বয়স বৃদ্ধির এ হারে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর। দিন দিন বাড়ছে প্রবীণের সংখ্যা। সম্প্রতি সরকার প্রবীণ ব্যক্তিদের সিনিয়র সিটিজেন মর্যাদায় ঘোষিত করেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশ্বের সর্বত্র ৮০ বছরের উপরে অতি প্রবীণের সংখ্যাও বাড়ছে দ্রুত হারে। বর্তমানে এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক প্রস্তাবে ১৯৯১ সাল থেকে বিশ্ব প্রবীণ দিবস পালিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।