‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির সেই দৃশ্যটা মনে আছে?
যেখানে জঙ্গলের মধ্যে গুপী-বাঘাকে বাঘের মুখোমুখি হতে হয়েছিল!
বা ‘হীরক রাজার দেশে’ হিরে চুরির আগে বাঘের শরীর ডিঙিয়ে দেওয়াল থেকে বাঘার চাবি নেওয়ার সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য নিশ্চয়ই ভোলেননি!
তার চেয়েও ভয়ঙ্কর একটি ভিডিও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পোষা কুকুর বা বেড়ালের মতোই পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আস্ত একটা বাঘ। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, মাংসাশী, হিংস্র প্রাণীদের অন্যতম রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। না, এই ভিডিওয় কোনও প্রযুক্তিগত চালাকি নেই। ‘হীরক রাজার দেশে’র ওই বাঘটির মতো ঘুমের ইনজেকশন দেওয়াও হয়নি এখানে। তাইল্যান্ডের ‘টাইগার টেম্পল’-এর থেকে আমদানিও করা হয়নি এটিকে।
ব্রাজিলের একটি পরিবারের সদস্যদের ভালবাসায় ওই পরিবারেরই সদস্য হয়ে উঠেছে বাঘটি।
ব্রাজিলের মারিঙ্গার বাসিন্দা অরি পয়সন ২০০৬ নাগাদ একটি সার্কাস থেকে অত্যন্ত রুগ্ন অবস্থায় দু’টি বাঘের বাচ্চাকে উদ্ধার করেন। তার পর থেকে পরম যন্তে তাদের সুস্থ করে তোলেন। সেই থেকে শুরু। এখন অরি পয়সনের বাড়িতে মোট ৭টি বাঘ রয়েছে। প্রত্যেকটিরই যথাযথ ভাবে দেখভাল করেন তিনি। তবে শুধু অরি একা নন, তাঁর তিন মেয়েও এ ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করেন। অরির ছোট মেয়ে বছর কুড়ির নায়ারা তো নিয়মিত বাঘের পিঠে চড়ে স্নান করেন। অরির বড় মেয়ে দিউসানরিয়া বিবাহিতা। দিউসানরিয়ার বছর দেড়েকের মেয়েও বাঘের সঙ্গে খেলা করে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি ‘টাইগার পার্ক’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন অরি পয়সন।
বাঘের সঙ্গে মানুষের এই অদ্ভুত সুন্দর পারিবারিক বন্ধনের ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়।