জীবনের ৯০টি বসন্ত পার করলেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। আগের মতো রাজপাট নেই বটে, তবে গণতন্ত্রের জোয়ারে আজও রাজতন্ত্রের ধ্বজা টিকিয়ে রেখেছেন তিনি। ব্রিটেনবাসীর কাছেও সমান সমাদর তাঁর। তিনি ঘটা করে পালন করুন বা না করুন, প্রতি বছর ২১ এপ্রিল তাঁর জন্মদিনে বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। এক ঝলকও যদি দেখতে পাওয়া যায়। এহেন ‘রানি মা’র জীবনের জীবন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য রইল:
১) বিশ্ব ইতিহাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনকালই দীর্ঘতম। গত বছর অক্টোবর মাসে ৮৮ বছর বয়সী থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবোল আদুল্যদে–র মৃত্যুর পর বর্তমানে তিনি বিশ্বের প্রবীণতম শাসকও বটে।
২) ১৯৫২ সালে বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর সিংহাসনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানি ভিক্টোরিয়াকে পিছনে ফেলে গত বছর ব্রিটেনের দীর্ঘতম শাসকের শিরোপা পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আসীন তিনি।
৩) উইনস্টন চার্চিল থেকে শুরু করে টেরেসা মে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বকালে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পা রেখেছেন মোট ১৩ জন প্রধানমন্ত্রী।
৪) চার সন্তানের মা রানির নাতি–নাতনির সংখ্যা ৮। প্রিন্স চার্লসের দুই সন্তান উইলিয়াম ও হ্যারি, প্রিন্স অ্যান্ড্রুর দুই কন্যা প্রিন্সেস বিয়াত্রিচে ও প্রিন্সেস ইউজিন, প্রিন্সেস অ্যানের দুই সন্তান জারা টিন্ডাল ও পিটার মার্ক অ্যান্ড্রু ফিলিপস এবং প্রিন্স এডওয়ার্ডের দুই সন্তান লেডি লুই উইন্ডসর এবং জেমস ভিসকাউন্ট সেভার্ন। প্রিন্স উইলিয়ামের আবার দুই সন্তান রয়েছে, প্রিন্স জর্জ এবং প্রিন্সেস শার্লট। জারা টিন্ডালের কন্যা মিয়া টিন্ডাল। পিটার মার্ক অ্যান্ড্রু ফিলিপসের দুই কন্যা সাভানা এবং ইসলা।
৫) প্রায় ১৬ লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বিশ্বের ১০৬টি দেশ ঘুরেছেন রানি তিনি।
৬) দীর্ঘ রাজত্বকালে ১২ জন মার্কিন প্রসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এ বছরের শেষের দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। তবে প্রায় ১৩ লক্ষ ব্রিটেনবাসী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্রিটেন সফরের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই কের পিটিশন জমা দিয়েছেন। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭) কুকুর পুষতে অসম্ভব ভালবাসেন রানি। উইলো, হোলি, ভালকান এবং ক্যান্ডি নামের বর্তমানে চার পোষ্য আছে তাঁর।