বিয়ের দিন নিজেকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করে তুলতে সব মেয়েই চান। আর সর্বাঙ্গ সুন্দর মানে কিন্তু প্রকৃত অর্থেই সর্বাঙ্গ সুন্দর। শুধু মুখের যত্ন নিলেই হয় না, বিয়ের আগে থেকে যত্ন নিতে হবে হাত, পায়েরও। আর অবশ্যই সবচেয়ে অবহেলিত অংশ, পিঠের। বিয়ের সময় সুন্দর ট্র্যাডিশনাল শাড়ি পরুন বা ডিজাইনার লেহঙ্গা। খোলা পিঠের ব্লাউজ সব পোশাককেই আরও সুন্দর করে তোলে। গরম কালের বিয়েতে খোলা পিঠের ব্লাউজই হতে পারে স্টাইল ইউএসপি। আর পিঠ যদি দাগহীন, সুন্দর না হয় তা হলে কিন্তু খোলা ব্লাউজ পরাটা মাঠে মারা যাবে। তাই বিয়ের যদি এখনও ২ মাস দেরি থাকে পিঠের নিয়মিত যত্ন নিন এখন থেকেই।
রোজকার ধুলো, ময়লা, তেল জমে পিঠ কালো হয়ে যায়। প্রতি দিন স্নানের সময় লুফা দিয়ে সারা শরীর পরিষ্কার করা সম্ভব হলেও পিঠের পুরোটা পৌঁছনো যায় না। তাই লম্বা হ্যান্ডলযুক্ত ব্রাশের সাহায্যে পিঠ ঘষুন রোজ। এই ব্রাশগুলো পিঠের নীচের দিক পর্যন্ত পৌঁছে যায় সহজেই। এতে ত্বকের মড়া চামড়া উঠে যাবে।
প্রতি দিন নিয়মিত কোনও ভাল বডি লোশন লাগান। সারা শরীরে লাগালেও পিঠে অনেকেই লাগান না। বিয়ের আগে মনে করে সারা পিঠে অবশ্যই মাসাজ করুন।
স্ট্রেসের কারণেও ত্বকে প্রভাব পড়ে। পিঠের ত্বকে সেই প্রভাব খুব প্রকট হয়ে ওঠে। তাই বিয়ের আগে অবশ্যই সময় করে গিয়ে স্পা করিয়ে আসুন। এতে স্ট্রেস যেমন কমবে, পিঠের ত্বকও উজ্জ্বল হবে।
কারও কারও পিঠে দাগ, ছোপ থাকে। অনেক সময়ই ত্বকের কোনও সমস্যার কারণে তা হয়ে থাকে। বিয়ের আগে প্রয়োজন মনে করলে নিশ্চয়ই ডার্মাটোলজিস্টের কাছে যান। পরামর্শ মতো যত্ন নিয়ে সুন্দর করে তুলুন পিঠ।
এ ছাড়াও প্রয়োজন নিয়মিত স্ক্রাবিং। ১ কাপ চিনির সঙ্গে ১ চ চামচ লেবুর রস ও ৬ টেবল চামচ আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। আগে থেকে ময়শ্চারাইজ করা পিঠে এই স্ক্রাব লাগান।
অথবা ৩-৪ টেবল চামচ মধুর সঙ্গে সম পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে পিঠে মাসাজ করলেও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবেন।