কোরীয় উপদ্বীপকে চীনের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বক্তব্য ঘিরে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতা ও ইতিহাসবিদরা ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে ইতিহাসের অপলাপ ও কোরীয় সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা বলে সমালোচনা করেছেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। ১২ এপ্রিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।
সেখানে বলা হয়, ‘এরপর তিনি (ট্রাম্প) চীন ও কোরিয়ার (উত্তর কোরিয়া নয়, সমগ্র কোরিয়া) ইতিহাস নিয়ে বলেন, আপনি জানেন এটা হাজার বছরের ইতিহাস, অনেক যুদ্ধের ইতিহাস। আর কোরিয়া প্রকৃতপক্ষে চীনের অংশ ছিল।’ ওই সাক্ষাৎকারে মার্কিন নীতি বিষয়ক এত বেশি পরিমাণ বিতর্কিত ও অভিনব মন্তব্য ছিল যে, সেসব ইস্যুর ভিড়ে কোরিয়া প্রসঙ্গ আলোচনায় আসেনি।
তবে মঙ্গলবার কোয়ার্টাজ পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হলে দক্ষিণ কোরিয়ায় এটি ভাইরাল হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ মন্তব্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কথার প্রতিধ্বনি নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্টের আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্য। তবে ইতিহাসবিদরা বলছেন, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে চীনের সঙ্গে কোরিয়ার দীর্ঘ সম্পর্ক থাকলেও কোরীয় উপদ্বীপ কখনও সরাসরি বা আনুষ্ঠানিক চীনের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। যদিও চীন অনেকবার কোরিয়ায় সামরিক আক্রমণ চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে ফের হুশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার : যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার’ জন্য হুশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দেশটির ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপাত্র রোদোং সিনমুনে এ হুশিয়ারি দেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির পথ খোঁজা হচ্ছে। টিলারসনের মন্তব্যের পর পিয়ংইয়ং এ প্রতিক্রিয়া জানায়। রোদোং সিনমুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আমাদের সঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা উচিত হবে না। এ ধরনের কিছু হলে আগ বাড়িয়ে ব্যাপক শক্তিশালী হামলা চালানো শুরু হবে।
এতে তাৎক্ষণিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও এর আশপাশে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের দখলদার বাহিনীকে শুধু সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা হবে না, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডও ছাইয়ে পরিণত করা হবে। ’ উত্তর কোরিয়া গত বছর থেকে নিয়মিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে এবং জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করার হুমকি দিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে দেশটি সামরিক প্যারেডে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী করেছে। পরের দিন আবার নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। তবে এটি ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছ দক্ষিণ কোরিয়া।