ফ্রান্সের প্যারিসের চ্যম্পস-ইলিসিসে বৃহস্পতিবার রাতের ‘জঙ্গি হামলার’ দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস। এ ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থার এক সূত্রে জানা গেছে, এসময় এক পুলিশ অফিসারকে হত্যা ও আরো দুইজনকে গুরুতর আহতকারী ওই ব্যক্তিকে ইসলামী চরমপন্থি হিসেবে আগেই চিহ্নিত করেছিল ফ্রেঞ্চ নিরাপত্তা সেবার কর্মীরা। এর আগেও ওই জঙ্গি একই ধরণের হামলা চালিয়ে অপর এক পুলিশ অফিসারকে আহত করেছিল।
তবে ওই সন্দেহজনক হামলাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে বলে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে। তারা আরো জানায়, ওই ব্যক্তি তার অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্য আগে থেকেই ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সেবা- ডিজিএসআই’র নজরদারিতে ছিল এবং তার বিষয়টি ‘ফিচে এস’ তদন্ত ফাইলের অধীনে নেয়া হয়েছিল।
এর আগে, আইএসের কথিত বার্তা সংস্থা আমাক এজেন্সিতে একাধিক ভাষায় ওই ‘জঙ্গি হামলার’ দায় স্বীকার করা হয়। আমাক এজেন্সিতে আইএসের বিবৃতিতে ওই সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম আবু ইউসুফ আল-বেলজিকি বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে হামলাকারীকে আইএসের কথিত ‘খিলাফতের সৈনিক’ বলেও দাবি করা হয় বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। বেলজিয়াম থেকে ট্রেনে করে প্যারিসে আসা এক সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার কথা আগেই জানিয়েছিল রয়টার্স।
ওই হামলার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছিলেন, তিনি এটিকে ‘জঙ্গি হামলা’ বলে ধারণা করছেন। হামলার পরপরই তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন এবং নিহত পুলিশ সদস্যকে জাতীয় সম্মান জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে একটি জঙ্গিবাদ বিরোধী তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। সিএনএন।