মির্জা ফখরুল দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এম ইলিয়াস আলীর মতো বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। এই শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ইলিয়াস আলীর ব্যাপারে আরও শক্ত ভূমিকা নিতে পারত। সে সময় একটা সফল অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। এরপর আন্দোলন থিতিয়ে পড়ে। সবচেয়ে কার্যকর হতো যদি সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে বারবার যাওয়া যেত।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তিস্তার পানি আনার ক্ষমতা এই সরকারের নেই। কারণ, তাদের কোনো গণভিত্তি নেই। দর-কষাকষি করার ক্ষমতা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলতে পারতেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হলে অন্য চুক্তিও হবে না। নতজানু, সেবাদাস দিয়ে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা পাওয়া যাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার আগে বিএনপির ১৫০ জন নেতার নামসহ একটি তালিকা ছড়ানো হয়েছিল। ইলিয়াস গুম হওয়ার পর থেকে এই ১৫০ জন একসঙ্গে আর বসেন না। এরপর থেকে বিএনপিতে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। এটাই যারা ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে, তাদের সার্থকতা।
আলোচনা সভায় ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য দেননি। অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবীব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।