ব্যবসা-বাণিজ্যে অবদানের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় ১২তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন ১২ জন। পুরস্কৃত করা হয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানকে।
আজ শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সিটি বাংলাদেশের সাব-ক্লাস্টার প্রধান জেমস মোরো, সিটি বাংলাদেশের কান্ট্রি অফিসার রাশেদ মাকসুদ, সাজেদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহিদা ফিজ্জা কবির, ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
সিটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এবার শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে মোট ১২ জন উদ্যোক্তাকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন নওগাঁর জিল্লুর রহমান, তাঁর হাতে সাড়ে চার লাখ টাকার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এই বিভাগে প্রথম রানারআপ বগুড়ার সাইদুজ্জামান সরকার দেড় লাখ টাকা ও দ্বিতীয় রানারআপ বরগুনার মো. আজিজুল হক সিকদার পেয়েছেন এক লাখ টাকা পুরস্কার।
শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন মুন্সিগঞ্জের রুমা আক্তার। তাঁর হাতে সাড়ে তিন লাখ টাকা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এই বিভাগে প্রথম রানারআপ ঢাকার ফজিলাতুন নেসা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন দেড় লাখ টাকা ও দ্বিতীয় রানারআপ চট্টগ্রামের রুবামা শারমিন পেয়েছেন এক লাখ টাকা।
শ্রেষ্ঠ তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হিসেবে সাড়ে তিন লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন আশুলিয়ার উদ্যোক্তা রুবেল দেওয়ান। এই বিভাগে প্রথম রানারআপ হিসেবে গাইবান্ধার নারী উদ্যোক্তা মোছা. রহিমা খাতুন দেড় লাখ টাকা পুরস্কার গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে এক লাখ টাকা পুরস্কার গ্রহণ করেন পাবনার বেড়া উপজেলার মো. তাইফুর রহমান।
শ্রেষ্ঠ কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী সাতক্ষীরার সায়মা খাতুন সাড়ে তিন লাখ টাকা পুরস্কার লাভ করেন। প্রথম রানারআপ দিনাজপুরের মো. আলতাফ হোসেন এবং দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন শরীয়তপুরের মো. নুরুল আমিন সরদার।
এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার লাভ করেছে পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) এবং শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক)।