ছয় কারণে ফেসবুককে ‘না’ বলুন

তথ্যপ্রযুক্তি সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

image_152029.fb_3065255bফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন অনেকেই ব্যবহার করছেন। আর এর প্রভাবে বহু সমস্যা গ্রাস করছে আমাদের। গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত ব্যয় ও কম কাজের প্রবণতা দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে এ সমস্যা এতই ভয়াবহ যে, একমাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ত্যাগেই মিলতে পারে সমাধান। এ লেখায় থাকছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ত্যাগের ছয়টি কারণ।
১. সময় নষ্ট করে
ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিদিন বহু মানুষের প্রচুর সময় নষ্ট করে। এক হিসাবে দেখা যায়, একজন ব্যবহারকারি যদি সপ্তাহের কর্মদিবসগুলোতে এক ঘণ্টা করে এবং সপ্তাহান্তে দুই ঘণ্টা করে এর পেছনে সময় ব্যয় করে তাহলে এক সপ্তাহে তার মোট ১০ ঘণ্টা ব্যয় হয়। এ হিসাবে ২০০৭ সাল থেকে একজন ব্যবহারকারীর এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ১৬০ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়েছে। এটি একটানা ১৭৩ দিন বা ২৪ সপ্তাহ কাজ করার সমান।
২. আর্থিক ব্যয়
ফেসবুকের আর্থিক বিষয়টি অনেকেই বুঝতে চান না। কিন্তু বাস্তবে ফেসবুক প্রতিষ্ঠানটির মূল্য বিবেচনা করলেই এ বিষয়ে খানিকটা বোঝা সম্ভব। ২০১২ সালে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে মার্কিন শেয়ারবাজারে এ প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক মূল্য হয় প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর এ অর্থমূল্যের উৎস ব্যবহারকারীদের দেওয়া নানা তথ্য, ছবি ও নানা ধরনের পোস্ট।
৩. বন্ধুদের হারাবেন না
ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলে বা ব্যবহার সীমিত করলেও যে আপনার বন্ধুরা হারিয়ে যাবে, এমনটা নয়। এক্ষেত্রে প্রকৃত বন্ধুদের নিয়ে ভিন্ন কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে তাদের কাছে পাওয়ার পাশাপাশি আপনার টেনশনও অনেক কমে যাবে।
৪. একান্ত বিষয়গুলোও থাকছে না ‘ব্যক্তিগত’
ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ক্রমে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার নীতি থেকে সরে আসছে। গত বছর নীতিমালায় কিছু পরিবর্তনের ফলে আপনার নাম ফেসবুক সার্চ থেকে গোপন করার পদ্ধতি বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে এগুলো একটা খোলা বইয়ের মতোই হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে আপনার ব্যক্তিগত সব তথ্য অপরিচিতরা পেয়ে যাবে, এমনটা মোটেও অসম্ভব নয়।
৫. মানুষকে অসুখী করে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে মানুষের সুখের মাত্রা কমে যায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, যারা ফেসবুক বেশি সময় ব্যবহার করে তারা মনে করে অন্যরা তাদের তুলনায় বেশি সুখী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনাতেই এ সমস্যার সৃষ্টি বলে মনে করছেন গবেষকরা।
৬. বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব
অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে আপনার ব্যক্তিগত সব তথ্য কিংবা ছবি দিয়ে তা সংরক্ষণ বা ধারণ করে রাখার আশা করা বোকামি। কোনো লাভ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো এমন কাজ করবে না। এ বছরেই ফেসবুক ৬ লাখ ৮৯ হাজার ব্যবহারকারীর তথ্য তাদের অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে একটি গবেষণা করে। এতে ফেসবুকের নিউজ ফিড পরিবর্তন করে কোনো মানুষের আবেগগত প্রভাব পরিবর্তনের সম্ভাবনা যাচাই করা হয়। ভবিষ্যতে এ তথ্য ব্যবহার করে নানা কাজে লাগাতে পারে ফেসবুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *