উত্তর কোরিয়া সামরিক শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সেনা জড়ো করেছে। আজ শনিবার পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজ শুরু হওয়ার আগে তেদং নদীর তীরে সেনাভর্তি শত শত ট্রাকের সারি দেখা যায়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়টি ওয়াশিংটন ও সিউলের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। কিমের দাদা উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সুংয়ের ১০৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের এ আয়োজন করছে উত্তর কোরিয়া। দিনটি উত্তর কোরিয়ায় ‘ডে অব দ্য সান’ হিসেবে পালিত হয়। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুধু সামরিক শক্তি প্রদর্শন নয়, ওয়াশিংটন, সিউল, টোকিওর মতো শহরগুলোকেও কঠোর বার্তা পাঠাতে চায় উত্তর কোরিয়া।
পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম—এমন যুদ্ধাস্ত্র বহনকারী রকেট তৈরির উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য তা ঠেকাতে বদ্ধপরিকর। উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যে পাঁচটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০১৬ সালে দুটি পরীক্ষা চালানো হয়। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। এর মধ্যে তিনটি জাপানের কাছাকাছি জলসীমায় পড়েছে। উত্তর কোরিয়া শিগগিরই ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, সামরিক ব্যবস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে ইতিমধ্যে সেনাসহ রণতরি ইউএসএস কার্ল ভিনসন রওনা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সে দেশের সেনাবাহিনীর বিবৃতি ইংরেজি ভাষায় প্রচার করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নেব। হামলাকারীদের টিকতে দেওয়া হবে না। উত্তর কোরিয়া তাদের নির্দয় আচরণ মেনে নেবে না।’
ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা একটি আর্মাডা পাঠাচ্ছি। এটি খুব শক্তিশালী। তিনি (কিম) খারাপ কাজ করছেন। বড় ধরনের ভুল করছেন।’