পহেলা বৈশাখে রমনা পার্কে বৈশাখী উৎসবে মেতেছিল নগরবাসী । প্রচুর গরম আর তীব্র খরতাপ মাথায় নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে সবাই মিলিত হয়েছিল রমনা পার্কে।প্রচন্ড গরমে যেন হাঁপিয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষ।তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নজিরবিহীন নিরাপত্তার জন্য সবাইকে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে পহেলা বৈশাখের জমকালো অনুষ্ঠানে। তার মধ্য থেকে বাদ পরেনি নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরাও।
বর্ষবরণ উপলক্ষে রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে আসা নারী, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হয়েছিল।এ সময় রমনা পার্ক, টিএসসি ও রবীন্দ্র সরোবর এলাকাতে আগতদের মাঝে ৫০ হাজার বোতল বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়।
তিনটি বুথ থেকে এ পানি সরবরাহ করা হয়। রমনা বটমূলের বর্ষবরণ চত্বর, রমনা পার্কের জামতলা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দিরের পাশে বুথ খুলে বোতলজাত বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করেছে পুলিশ সদস্যরা।
ডিএমপি’র এ সেবাকে সাধুবাদ জানিয়েছে তৃষ্ণার সময় পানি পাওয়া মানুষেরা। কারণ হিসেবে তারা বলেন, আজ রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে হকারমুক্ত এলাকা ঘোষণা করায় এখানে কোথাও বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পুলিশের এই সেবা পেয়ে আমরা খুব খুশি।
সবার জন্য বিনামূল্যে পানি বিতরণ করায় ডিএমপিকে ধন্যবাদ জানান তারা। একইসঙ্গে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তায় আজকে বৈশাখ পালনে পুলিশের নজরদারি সত্যি অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও জানান আগত দর্শনার্থীরা।
সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা ও সেবা দিতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদেরও কম কষ্ট পোহাতে হয়নি। গতকাল ভোর ০৪.০০ টা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত ছিল। তারা প্রচন্ড গরম ও উত্তাপের মধ্যেও এতোটুকু বিরক্তবোধ ছিলনা বরং হাসিমুখে সবকিছু মেনে নিয়ে প্রতিটি পুলিশ সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।
এছাড়াও রমনা পার্কের চারটি প্রবেশ গেট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমূখে গোলাপ ফুল, বাতাসা, খই দিয়ে আগত জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানানো হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে।