অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মোহামেদ রামাদান নামে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে এই সাজাকে ” স্বাধীনতার ওপর ভয়ানক হামলা” বলে অভিহিত করেছে।
সন্ত্রাস-বিরোধী আইনকে সমালোচকদের বিপক্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও তারা দোষারোপ করছে। ফেসবুক ব্যবহার করে ঐক্য নষ্ট করার এবং সহিংসতায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে ২০১৫ সালের করা ওই আইনের অধীনেই সাজা দেয়া হয়েছে মি. রামাদানকে।
সরকারের দাবি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই আইন প্রয়োজন। তবে রামাদান ফেসবুকে আসলে কি লিখেছিলেন সেটা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তার অনুপস্থিতিতেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আলেকজান্দ্রিয়ার আদালতে সাজা ঘোষণা করা হয়, বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
ফেসবুক পেইজে রামাদান লিখেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন মিশরের বর্তমান সরকার খুব বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না।
এই ১০ বছরের সাজার সঙ্গে রামাদানকে আরও ৫ বছর গৃহবন্দী রাখারও সাজা দিয়েছে আদালত। এবং ওই সময়টা তিনি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন না।
প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাতাহ আল-সিসির এই শাসনামলে ইসলামপন্থীদের এবং সরকারের সমালোচনা করার কারণে হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে ।