প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনযুদ্ধে হিমশিম খাওয়া মানুষগুলোর চিত্ত-বিনোদনের সুযোগ এমনিতেই কম। বর্তমান সরকার জীবনটাকে সহজ করার চেষ্টা করছে। হাতিরঝিলের দৃষ্টিনন্দিত স্থাপনা মানুষকে কিছুটা হলেও চিত্ত-বিনোদনের সুযোগ করে দেবে। তবে তিনি এলাকাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল নাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্থাপনা দুটির বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক ও হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক মেজর আবু সাইদ মো. মাসুদ চৌধুরী।
প্রকল্প পরিচালক জানান, গ্রিক ও রোমান সভ্যতার আদলে নির্মিত অ্যাম্পিথিয়েটার ও ওয়াটার ফাউন্টেন নির্মাণে প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। হাতিরঝিলে নির্মিত এই অ্যাম্পিথিয়েটারে একসঙ্গে দুই হাজার দর্শক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। এটি দেখতে পানির ওপর পাপড়ি মেলে থাকা ফুলের মতো।
তিনি জানান, এ উন্মুক্ত থিয়েটারটি রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও আন্তজার্তিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি নগরবাসীর সাংস্কৃতিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। আর বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বছরব্যাপী ঐহিত্যকে তুলে ধরবে ওয়াটার ফাউন্টেন।