আইপিএল খবর : প্রশ্ন: দেখেশুনে মনে হচ্ছে ভারত দেশটাকেই আপনি নতুন করে আবিষ্কার করতে শুরু করেছেন।
মাইকেল ক্লার্ক: একেবারেই তাই। আগে এত বার এসেছি ভারতে। কিন্তু এত ভাল করে কখনও দেখিনি। আমি বলতে চাই যে, এটাই আমার সেরা এবং সবচেয়ে প্রিয় ভারত সফর।
প্র: কী বলছেন? ভারতেই তো আপনার অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি!
ক্লার্ক: হ্যাঁ, অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরির মুহূর্তটা খুব স্পেশ্যাল। কিন্তু সেটার কথা মাথায় রেখেও বলছি, এটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় ভারত সফর। তিন মাস হয়ে গেল ভারতে কাটিয়ে ফেললাম। কোথা দিয়ে যে সময়টা বেরিয়ে যাচ্ছে, বুঝেই উঠতে পারছি না। আমি তো এমনও ভাবছি যে, ছ’মাস অস্ট্রেলিয়া থাকব আর ছ’মাস ভারতেই কাটাব।
প্র: এ বারের সফরটা কেন এত আলাদা মনে হচ্ছে?
ক্লার্ক: ক্রিকেট খেলার সময় যখন ভারতে এসেছি, তখন তো দেশটাকেই ভাল করে দেখিনি। তখন তো চারদিকে নিরাপত্তার বলয়। শুধু এয়ারপোর্ট, হোটেল, মাঠ আর মাঠ, হোটেল, এয়ারপোর্ট। এ বারে অনেক জায়গায় যাচ্ছি। অনেক মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ পাচ্ছি। এই যেমন এই স্কুলটায় অনেক বাচ্চা ছেলে-মেয়েকে দেখলাম। তাদের সঙ্গে কথা বললাম। ভারতে এসে এ বার তো আমি হোলিও খেললাম। আমার মনে হয় এই সফরটায় আমি ভারত দেশটাকে অনেক ভাল করে জানতে পেরেছি। সেই কারণেই বলছি, এই সফরটা আমার সবচেয়ে প্রিয় হয়ে থাকল।
প্র: মঞ্চে বললেন শুনলাম, দীপিকা পাড়ুকোন নাকি আপনার প্রিয় বলিউড তারকা। সত্যি?
ক্লার্ক: ভারত দেশটাকে নিয়েই আমার মধ্যে খুব উত্তেজনা আর আগ্রহ আছে। ওই যে বললাম, খেলার সময় তো চোখ খুলে দেখতেই পারিনি। তাই এখন চোখ বড় বড় করে দেখছি। একটা কথা বলি। আমি কিন্তু খুব আন্তরিক ভাবে এই দেশটাকে জানতে চাই। মানুষের সংগ্রামের কথা নিজে কানে শুনতে চাই। কোথাও হয়তো ছেলেমেয়েরা খুব লড়াই করে বড় হচ্ছে। সেটা নিজে চোখে দেখতে চাই। আমি এক জন ক্রিকেটার। আমার কাজ হচ্ছে, খেলাটাকে বাড়তে দেওয়া। প্রসারিত করা। শুধু অস্ট্রেলিয়ায় নয়, সারা বিশ্বে। আমার ভূমিকাটা সে রকমই হওয়া উচিত বলে মনে করি।
প্র: সেই কারণেই কি বিমানবন্দরের কাছাকাছি এই স্কুলে চলে এলেন?
ক্লার্ক: ইয়েস। ভারত ক্রিকেট ভালবাসে। আমি ক্রিকেট ভালবাসি। আমার মনে হচ্ছে, কেন দু’জনে দু’জনকে সাহায্য করব না। ভারতের ছেলেমেয়েদের যদি ক্রিকেটের ব্যাপারে সাহায্য করতে পারি, তা হলে মনে করব ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ভূমিকা পালন করতে পারছি।
প্র: বলিউড আর দীপিকা পাড়ুকোন? ওটা এড়িয়ে গেলেন?
ক্লার্ক: না, না এড়িয়ে যাচ্ছি না একদমই। দীপিকাকে বেশ ভাল লাগে আমার। খুব বেশি বলিউড নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারিনি এখনও। তবে আমি জানি, বলিউড বিশাল একটা ব্যাপার ভারতে। বলিউড নিয়ে আরও বেশি করে জানার ইচ্ছে রয়েছে।
প্র: আইপিএল খেলেছেন মাত্র একটা মরসুম। তা-ও খুব বেশি ম্যাচে নয়। অথচ, ধারাভাষ্যকার হিসেবে সব ম্যাচে হাজির। কী মনে হয়, খেলাটাকেই বদলে দিয়েছে আইপিএল?
ক্লার্ক: (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) আমি অনুশোচনায় ভুগি না। আইপিএল খেললাম না বলে দুঃখ নেই। আইপিএলে খেলাটাকেই শুধু বদলে দেয়নি, বদলে দিয়েছে ভালর জন্য। এখন যে গতিতে তরুণ ক্রিকেটারেরা উঠে আসছে, সেটা সম্ভব হচ্ছে স্রেফ আইপিএলের জন্য। আমি যখন খেলছিলাম, তখনও প্রধান ফর্ম্যাট ছিল টেস্ট ক্রিকেট। তার সঙ্গে ছিল ওয়ান ডে। বিশ্বকাপের জন্য সেটাও খুব বড় ফর্ম্যাট। টি-টোয়েন্টি তখন সবে শুরু হচ্ছিল। তাই খুব বেশি খেলার সুযোগ হয়নি আমার। এখন ভাবলে মনে হয়, ইয়েস, এখন ক্রিকেট খেললে আইপিএল খেলতে আমি খুবই আগ্রহী হতাম। পারলাম না বলে অনুশোচনা নেই। কিছুটা হতাশা আছে। অনুশোচনা হয় না কারণ আমার সময়কার সেরা দু’টো ফর্ম্যাটে আমি সেরাটা দিতে পেরেছি।
প্র: আইপিএলের কমেন্ট্রি বক্সে বসে কেমন অভিজ্ঞতা হচ্ছে?
ক্লার্ক: দুর্ধর্ষ। এ বি ডিভিলিয়ার্স বা বিরাট কোহালির মতো ব্যাটসম্যানকে লাইভ দেখতে পারাটা একটা বিরাট প্রাপ্তি। যদিও বিরাট এখনও আইপিএলে খেলতে পারেনি। কিন্তু অন্য আরও অনেকে আছে। আমি তো বিস্মিত হয়ে যাচ্ছি এখনকার ক্রিকেটারদের কাণ্ডকারখানা দেখে! কারও স্ট্রাইক রেট ১৬০! কারও ১৮০! কারও আবার ২২০! আমি দেখছি আর ভাবছি, হচ্ছেটা কী রে! আমরা কি দু’শো বছর আগে ক্রিকেট খেলতাম নাকি? আমাদের সময়ে তো ৯০ বা ১০০ স্ট্রাইক রেট থাকলেই বলা হতো, এ বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। তখন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বা ম্যাথু হেডেন-কে দেখে আমরা বলাবলি করতাম, কী পেটায় রে বাবা! এখনকার ব্যাটসম্যানরা যেটা করছে, সেটা স্রেফ অবিশ্বাস্য! খেলাটা আরও ভাল হচ্ছে, খুবই উন্নত হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দর্শক বিনোদন বেড়ে গিয়েছে। এই কারণেই আইপিএলের অবদান স্বীকার করতেই হবে। দিনের শেষে খেলা তো তা-ই। দর্শক বিনোদনের মাধ্যম।
প্র: কিন্তু ক্রিকেট পণ্ডিতরা যে বলে থাকেন, টি-টোয়েন্টি মানেই ধুমধড়াক্কা ক্রিকেট। ওটা খেলা মানেই তোমার আসল ক্রিকেট মানে টেস্টের খেলা নষ্ট হয়ে যাবে!
ক্লার্ক: ধুস, এই বিশ্লেষণটা কখনও আমার মাথাতেই ঢুকল না। আমি তো দেখছি, যারা টি-টোয়েন্টির সেরা ক্রিকেটার তারাই ওয়ান ডে-র সেরা ক্রিকেটার, তারাই আবার টেস্ট ক্রিকেটকে শাসন করছে। আমি তিনটে নাম বলছি। এ বি ডিভিলিয়ার্স, বিরাট কোহালি, স্টিভ স্মিথ। এরাই তো ব্যাটিংয়ে টপ থ্রি। যেমন পাঁচ দিনের টেস্টে, তেমনই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। এ বি সেদিন যখন দুর্ধর্ষ ইনিংসটা খেলছিল, আমি কমেন্ট্রি করছিলাম। আমি বলেছিলাম, টি-টোয়েন্টিকে অনেকে ওড়ানো ক্রিকেট বলে। কিন্তু এখানে এ বি-র ব্যাটিংয়ে যে টেকনিক দেখতে পাচ্ছি, সেটা দেখার জন্য সহস্র মাইল হেঁটে আসতেও আমি রাজি।
প্র: খুদে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে আপনার উপদেশ তা হলে কী হবে?
ক্লার্ক: টেকনিকের দিকে মন দাও। ওটাই হল ভিত। ব্যাটিং জিনিসটা হল বাড়ি বানানোর মতো। প্রথম লক্ষ্য শক্ত ভিত তৈরি করা। তোমার ভিত যদি শক্ত হয়, পঁচিশ তলা বাড়িও বানাতে পারবে, পাঁচ তলাও পারবে। কারও টেকনিক ভাল হওয়া মানে সে সব ধরনের ক্রিকেটে সফল হবে।
প্র: টেকনিক হল। তিন ধরনের ক্রিকেটে কী করে উন্নতি করব?
ক্লার্ক: একটা একটা করে ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে নিজেকে। টেকনিকটা ভিত করে নানা রকম স্কিল আয়ত্ব করতে হবে। ইয়েস, তিন ধরনের ক্রিকেটে তিন রকম মানসিকতা থাকতে হবে। টি-টোয়েন্টি খুব আক্রমণাত্মক একটা ফর্ম্যাট। সেটার জন্য খুব আগ্রাসী মনোভাব রাখতে হবে। ওয়ান ডে-তে একটু ধরে খেলার সুযোগ থাকে। টেস্টের জন্য মাথায় রাখতে হবে যে, দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করাটাই আসল। আমার কাছে পারফেক্ট ক্রিকেটার হল সে-ই যে সব ধরনের ফর্ম্যাটে সফল হওয়ার ক্ষমতা রাখে।
প্র: ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এই যে স্লেজিং নিয়ে এত তীব্রতা, এত তিক্ততা হল, এটা কি সমর্থনযোগ্য?
ক্লার্ক: আমার মনে হয়, মিডিয়া ব্যাপারটাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। শেষ পর্যন্ত তো দেখলাম, লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দু’দেশের মিডিয়ার মধ্যে। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যাপারটা ঘুরে গিয়ে হল— ভারতীয় মিডিয়া বনাম অস্ট্রেলীয় মিডিয়া। আমি তো সে দিন কমেন্ট্রি করতে গিয়েও বললাম, যাদের স্লেজিং নিয়ে এত কথা ওঠে, সব এখন আইপিএলে ক্যাপ্টেন। স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহালি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, রোহিত শর্মা। এরা যখন দেশের হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়বে, এক ইঞ্চি ছেড়ে দেবে না। তখন পরস্পরের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যাবে। আর সেটাই তো হওয়া উচিত। আমার কাছে খেলার মন্ত্রটাই তো সেটা— মাঠে নামব জেতার জন্য। অন্য কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করা যাবে না। তা বলে কি সেই তিক্তটাই মনে রাখব নাকি? বিরাট যতই বলুক, ও নিজেও মনে রাখার ছেলে নয়। ওরা ঠিকই আবার মাঠের বাইরে বন্ধু হয়ে যাবে।
প্র: আপনি নিজে অস্ট্রেলিয়ান। ‘প্লে ইট হার্ড’ তো আপনারও মন্ত্র ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সেটা কে দেখবে?
ক্লার্ক: যতটা বলা হচ্ছে, ততটা কিন্তু নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। গেলে নিশ্চয়ই ম্যাচ রেফারি হস্তক্ষেপ করত। আইসিসি করত। সে রকম কিছু তো ঘটেনি। তা হলে এত উদ্বেগ ছড়ানোরই বা কী আছে? আমি মনে করি, তীব্রতা থাকা উচিত। আমি জিততে নেমেছি, ওরাও জিততে নেমেছে। কেউ কাউকে ছাড়ব না। এ ভাবেই ‘স্পোর্ট’-কে দেখে এসেছি আমি। ঝঞ্ঝাট বাধলে বাধবে। তবে হ্যাঁ, খেলাটার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। সকলকে মনে রাখতে হবে, ক্রিকেট খেলার উর্দ্ধে কেউ নয়। সীমানা অতিক্রম না করলেই হল। আর আমি মনে করি না, ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কেউ সীমানা অতিক্রম করেছে বলে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, খেলাটার প্রতি সম্মান দেখানো এবং সততা বজায় রাখা।
প্র: যদি কেউ সীমানা অতিক্রম করে, তা হলে কী ভাবে সামলানো উচিত বলে আপনার মনে হয়? কড়া শাস্তি দিতে বলছেন কেউ কেউ।
ক্লার্ক: আমি শাস্তিটাকে সব সময় দ্বিতীয় ধাপ মনে করি। কেউ যদি ভুলে করে, তা হলে তারই উচিত দ্রুত ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। ভুল স্বীকার করে নিতে আপত্তি থাকবে কেন? সেটা করা গেলে সবচেয়ে ভাল। আর একটা কথা হচ্ছে, খুব বাজে কিছু না ঘটলে সত্যিই কি এগুলো কারও মনে থাকে? কে জানে! আমার তো মনে হয় আজ থেকে পাঁচ বছর পরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া এই সিরিজটার দিকে ফিরে তাকালে আমার মনে হবে, আহা! কী দুর্ধর্ষ ক্রিকেট দেখেছিলাম! নিশ্চয়ই বলব না, ওহ্ সেই সিরিজটা, যেখানে খুব স্লেজিং হয়েছিল? তিক্ততা তৈরি হয়েছিল?
প্র: আপনি নিশ্চিত, তিক্ততার সম্পর্ক অতীত। এর পর আবার খেলতে নামলে কোহালি, স্মিথ-রা স্বাভাবিক থাকতে পারবেন?
ক্লার্ক: সবাই মনে রাখবে স্কোরলাইনটাই। ভারত ২-১ ফলে সিরিজ জিতেছিল। ইয়েস, আমাদের দেশে বলাবলি হবে যে, অস্ট্রেলিয়ার তরুণ একটা টিম দারুণ লড়েছিল। হেরে গেলেও মাথা উঁচু করে ফিরেছিল। এর পর ভারত হয়তো পরের গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ায় আসবে। তখন আবার ফাটাফাটি ক্রিকেট হবে। তখন আবার কেউ কাউকে ছাড়বে না। আমি আশা করব, ক্রিকেটভক্তরা দু’টো দারুণ টিমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করবে। খুব হাড্ডাহাড্ডি সিরিজ হবে আবার, কিন্তু মাঠের বাইরে ওরা আবার বন্ধু হয়ে যাবে সিরিজটা শেষ হয়ে গেলেই।
প্র: কলকাতা নাইট রাইডার্সে ম্যাচ আজ। কেমন দল নাইট রাইডার্স?
ক্লার্ক: দুর্ধর্ষ। আমি কেকেআরের ম্যাচেই বেশি কমেন্ট্রি করছি বলে ওদের টিমটা খুঁটিয়ে দেখছি। ক্রিস লিনের জন্য আমার খারাপ লাগছে। ওর সঙ্গে গৌতম গম্ভীরের ওপেনিং জুটি তৈরি করাটা এ বারে কেকেআরের মাস্টারস্ট্রোক ছিল। আমার মনে হয়েছিল, এই আইপিএলে সেরা ওপেনিং কম্বিনেশন ওটাই ছিল। গম্ভীর আর লিন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছেলেটার, চোট লেগে গেল। আমার মনে হয় নাইট রাইডার্স আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হচ্ছে এ বারের আইপিএল জেতার ব্যাপারে দু’টো ফেভারিট টিম।
প্র: কেকেআরে কাকে আপনার বেশি ভাল লাগে?
ক্লার্ক: গম্ভীর। দারুণ একটা ছেলে। খুব ভাল ব্যাটসম্যান আর দুর্দান্ত ক্যাপ্টেন। কেকেআরের স্পিন বিভাগটাও আমার খুব ভাল লাগে। খুব শক্তিশালী স্পিন বিভাগ ওদের।
প্র: কিন্তু ইডেনের পিচে তো এবারে ঘাস। সুনীল নারাইনদের জন্য ঘূর্ণি পিচ আর নেই ইডেনে।
ক্লার্ক: তাতে ওদের অসুবিধে হবে না। কেকেআরের ভাল পেসারও আছে। ওরা ব্যালান্স়ড টিম। সানরাইজার্স-ও তাই। ওদের ভাল ব্যাটসম্যান আছে, ভাল পেসার আছে, ভাল স্পিনার আছে। অলরাউন্ডার আছে ভাল। ওদের হাতে ‘অপশন’ বেশি। টি-টোয়েন্টিতে সেটাই দরকার।
প্র: আইপিএলে ভারতীয় ভক্তরা একটু বিমর্ষ। বিরাট কোহালি এখনও নামতে পারলেন না। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাটে রান নেই।
ক্লার্ক: বিরাট তো খুব শীঘ্রই ফিরছে। আর ফিরলে নিশ্চয়ই ও আবার আনন্দ দিতে শুরু করে দেবে। ধোনিও রানে ফিরবে। একটা বড় রান খুব তাড়াতাড়িই ওর ব্যাট থেকে আসবে বলে মনে হয়। আমার মনে হয় ধোনির আরও ওপরের দিকে ব্যাট করা উচিত। যাতে ও আরও সময় পায় ইনিংসটা তৈরি করার। এরা সব গ্রেট প্লেয়ার। রাতারাতি যেমন কেউ গ্রেট হয় না, তেমন রাতারাতি কেউ খারাপও হয়ে যায় না।