সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোলাপগঞ্জে মাকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাষণ্ড এক পুত্র। বুধবার ভোরে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ বারকোট এলাকায় এ নির্মম ঘটনাটি ঘটে। নিহত মায়ের নাম তহুরুন্নেছা (৭৫)। ঘটনার পর ঘাতক পুত্র পালিয়ে গেলেও পরে স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করার পর ময়না তদন্তের জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিন বাদ ফজর নামাজ পড়ে ঘরের বারান্দায় বসেছিলেন তখলিছ আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা তহুরুন্নেছা (৭৫)। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তার ঘাতক পুত্র রুবেল আহমদ (২৫) ধারালো বটি দিয়ে উপর্যুপুরী কয়েকটি কুপ দেয়।
এসময় তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘরের লোকজন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তাৎক্ষণিক বিষয়টি বুঝতে পারেননি। এর পর রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ পরে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনের আর্তচিৎকারে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। কিন্তু এর আগেই মাকে হত্যা করেই পালিয়ে যায় ঘাতক পুত্র রুবেল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতাহাল রিপোর্ট তৈরী করে রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে সিলেট এম জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন।
এর পর বেলা ২ টার দিকে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় ঘাতক রুবেলকে উপজেলার হিলাল পুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এলাকার একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন থেকে ঘাতক রুবেল বাড়িতে থাকতো না। মাঝে মধ্যে সে আসা যাওয়া করলেও কারো সাথে তেমন কথাও বলতনা।
আবার কোন কোন সময় মায়ের কাছে টাকাও দাবি করতো। এলাকাবাসীর ধারণা সে সম্ভবত মাদকাসক্তে আসক্ত হয়ে পড়েছিল।
এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ থানায় নিয়ে আসে।