রেষারেষি তো নেই, বরং অন্য বেগমের সঙ্গে রয়েছে নিখাদ বন্ধুত্ব। বেশ গর্ব করেই তাঁদের সখ্যতার কথা জানিয়েছেন বিদ্যা বালন। বাংলা নববর্ষেই তিনি আসছেন ‘বেগমজান’ নিয়ে। গত সোমবারই কলকাতায় একটি গেট টুগেদারে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল অন্য ‘বেগম’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে। আর দেখা হতেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিলেন বিদ্যা ও ঋতু। এ বার যেন সেই আবহের সুর টেনেই বিদ্যা বালন জানালেন, আগের বেগম ঋতুপর্ণার সঙ্গে তাঁর কোনও রেষারেষি নেই।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ফিল্ম ‘বেগমজান’ রিলিজ হওয়ার দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন ঋতুপর্ণার সঙ্গে তুলনায় চলে আসছেন বিদ্যা। বোদ্ধা সমালোচক থেকে আমজনতা— সকলেরই চোখ যেন তাঁদের দিকে। রিলিজের আগেই চর্চায় ‘বেগমজান’ বনাম ‘রাজকাহিনী’। কে বাজিমাত করবেন? ‘রাজকাহিনী’-র ঋতু না ‘বেগমজান’-এর বিদ্যা! তবে এই লড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতাকে পাত্তা দিতে নারাজ বিদ্যা স্বয়ং। উল্টে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে ঋতুদিদির কোনও প্রতিযোগিতাই নেই। ঋতুদিদি আমার খুব ভাল বন্ধু। আর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের রাজকাহিনীতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন।”
কলকাতার সঙ্গে বিদ্যা বালনের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। এ শহরে তাঁর প্রায়শই যাতায়াত। বিদ্যা বলেন, “এ শহরে পা দিয়েই এর আগে বহু বার ঋতুদিদির সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের মধ্যে বেশ সহজ একটা সম্পর্ক রয়েছে। এ বারও দেখা হতেই আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঋতুদিদি। আর বলেছেন, আমার ফিল্ম দেখতে অবশ্যই আসবেন।” তবে শুধু ঋতুপর্ণাকেই নয়, নববর্ষের দিনে বাংলার সকলকেই ‘বেগমজান’ দেখার অনুরোধ করেছেন বিদ্যা।