সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়িতে হামলার ঘটনার দায়েরকৃত মামলার ৮ আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় জড়িত জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে আজীবন বহিষ্কৃত ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন (২১৫৯)-এর সাবেক সভাপতি আবু সরকারসহ ৮ জন সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোহেল আহম্মদ জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শফিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৮ আসামিরা আদালতে হাজির হলে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরু তাঁদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া ৮ জন হচ্ছেন, আবু সরকার, মুজিবুর রহমান মুজিব, মো. আমীর উদ্দিন, মো. আনোয়ার খান পাঠান, মো. সোহেল আহমদ, আব্দুস শহিদ, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মতিন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে পরিবহণ শ্রমিকদের সাথে সমঝোতা বৈঠক শেষে গাড়িতে করে ফিরছিলেন শফিক। ওই বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহণ শ্রমিকরা। বৈঠক শেষে শফিক চৌধুরীর গাড়ি সোবহানীঘাট এলাকায় পৌঁছালে গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে পরিবহণ শ্রমিকেরা। এ সময় গাড়ির কাঁচ ভেঙে শফিক চৌধুরীর হাত কেটে যায়।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সিলেট কোতোয়ালি থানায় গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। ওই রাতেই জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. দিলু মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ হামলার ঘটনায় জড়িত ২০ জনকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন, আবু সরকার, মুজিবুর রহমান মুজিব, মো. আমীর উদ্দিন, মো. আনোয়ার খান পাঠান, মো. সোহেল আহমদ, আব্দুস শহিদ, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মতিন, আমিনুল ইসলাম শাহিন, আব্দুল হামিদ, আবু ছায়েম, সাব্বির আহমদ পাখি, মো. সালেক মিয়া, সাব্বির আহমদ, শফিক আহমদ, ফয়ছল মিয়া, মো. জাহাঙ্গীর মিয়া, মো. কালা মিয়া, মো. শফিক মিয়া ও মো. আবুল মিয়া।