স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস : নিজের নাম পরিবর্তন করে সাদিয়া ও নাদিয়া কে বিয়ে করেছেন এক স্বামী। দুই স্ত্রীকে আলাদাভাবে রাখলেও খোঁজ খবর না নেয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী সাদিয়া প্রথম স্ত্রী নাদিয়ার সঙ্গে থাকা স্বামীর বাড়িতে উঠেন। এর পর একটি সোনার চেইনের সূত্র ধরে দুই সতীনের মিলন হওয়ার পর জীবনের ভয়ে স্বামী পালিয়ে যায়।
রোববার গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে একটি শুটিং স্পটে মাছারাঙা টিভিতে প্রতি রোববারও সোমাবার প্রচারিত চলমান ধারাবাহিক নাটক মামলা বাজের ৭১তম পর্বের শুটিং হয়। শুটিং এর ফাঁকে নাটকের অভিনেত্রী সাদিয়া আফরিন কথা বলেন গ্রাম বাংলানিউজের সঙ্গে। খোলামেলা কথা বলে প্রকাশ করে নাটকের মুল গল্পের সারসংক্ষেপ।
সাদিয়া আফরিন বলেন, মামলাবাজ নাটকটি রচনা করেছেন ব্রিন্দাবন দাস। পরিচালনা করছেন সৈয়দ সাকিল। অভিনয়ে রয়েছেন, ডলি জহুর, চঞ্চল চৌধুরী, মীর সাব্বির, আল মুনসুর ও নাদিয়া সহ আরো অনেকে।
সাদিয়া আফরিন বলেন, নাটকটিতে ডলি জহুর গ্রাম্য পরিবারের গৃহকর্তৃর ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তার ছেলে মীর সাব্বির নিজের নাম আলমগীর হোসেন পরিচয় দিয়ে প্রথম স্ত্রী নাদিয়াকে বিয়ে করেন। আর তাজুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে সাদিয়াকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাব্বির। পরিচয় গোপন করে দুই স্ত্রী দুই জায়গায় রাখেন সব্বির। দুই স্ত্রীর নিকট নিজেকে সমাজের বড় ও প্রভাবশালী নেতা পরিচয় দিয়ে ডিসি এসপি ও নেতাদের সঙ্গে নিজের উঠাবসায় তিনি যথেষ্ট ব্যস্ত বলে জাহির করেন। একদিন প্রথম স্ত্রী নাদিয়া গলার সোনার চেইন চুরি করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে উপহার দেন সাব্বির। এদিকে প্রথম স্ত্রীর চেইন চুরি ঘটনায় ডলিজহুরের সংসাদের চুর-পুলিশ খেলা শুরু হয়। এমনি এক সময় দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করায় দ্বিতীয় স্ত্রী সাদিয়া কোন মতে ঠিকানা সংগ্রহ করে সাব্বিরের বাড়িতে এসে দেখেন তার প্রথম স্ত্রী নাদিয়া সঙ্গে সাব্বির।
এদিকে স্বামী, দ্বিতীয় স্ত্রী সাদিয়াকে প্রথম স্ত্রী নাদিয়ার বাড়িতে দেখে না চেনার ভ্যান করলে নাদিয়া তার গলা থেকে চুরি যাওয়া সোনার চেইন সাদিয়ার গলায় দেখে সতীন হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ওই সূযোগে পালিয়ে যায় প্রতারক স্বামী সাব্বির। আর প্রতারিতা দুই নায়িকা নিজেদের সুখ দুঃখের কথা ভাগাভাগি করার মাধ্যমে যবনিকা পতন হয় সামাজিক নাটক “মামলা বাজ” এর ৭১তম পর্বের।