শাকিবের দাবি, এটি তাঁর ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য একটি চক্রান্ত। বিয়ের কথা এত দিন গোপন রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবন সামনে আনতে চাইনি। এখন সে (অপু বিশ্বাস) এনেছে। তাঁর সব চাহিদা পূরণ করেছি। যখন বলেছে টাকা দিয়েছি।’
শাকিব খান বলেন, ‘আব্রাহামের দায়িত্ব আমি নিয়ে যাব। সে আমার সন্তান। সারা জীবন তার দায়িত্ব আমি নিয়ে যাব।’
এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে অপু বলেন, চিত্রনায়ক শাকিবের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে। তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল তাঁদের বিয়ে হয়। শাকিবের ঢাকার বাসায় এই বিয়ে হয়। পরিবারের কাছের লোকজন সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের সময় তাঁর নাম হয় অপু ইসলাম খান। শাকিবের ইচ্ছাতেই এত দিন বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।
হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার ১০ মাস পর ফেরেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, এই দীর্ঘ সময়টায় তিনি ভারত, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে ছিলেন। কলকাতার একটি হাসপাতালে তাঁর ছেলের জন্ম হয়, ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। ছেলের নাম আব্রাহাম খান জয়। তিনি এসব কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, শাকিবের ভালো চিন্তা করে তিনি সব করেছেন। অনেক ছাড় দিয়েছেন। ধৈর্য ধরতে ধরতে শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছেন তিনি। তাই এবার সব বলছেন।
শাকিব সম্মান করেননি, বরং বারবার ছোট করেছেন বলে অপু বিশ্বাস বলেন। তাঁর ভাষায়, ‘সম্মান চেয়েছি। পাইনি। বারবার ছোট হয়েছি।’
একপর্যায়ে অপু বিশ্বাস বলেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর শাকিব তাঁকে বলেছেন নিজেকে লুকিয়ে রাখতে। তাই তিনি তেমনটা করেছেন। সন্তান হওয়ার সময় শাকিব তাঁর পাশে ছিলেন না। তবে ঢাকায় আসার পর সন্তানকে দেখতে যান। সন্তানের সব খরচও দেন।
অপুর এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চেয়ে শাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নানা বিষয়ে কথা বলেন।