দশম জাতীয় সংসদের সপ্তম থেকে ত্রয়োদশ অধিবেশনে বিভিন্ন আলোচনাপর্বে মোট সময়ের ১৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহারে। প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ করে এই সময়কালে আক্রমণাত্মক, কটু ও অশালীন শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
সংসদের বাইরে থাকা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে ২ হাজার ১০১ বার এবং সংসদের ভেতরে থাকা প্রতিপক্ষকে নিয়ে ৪৩৩ বার কটূক্তি, অশালীন ও আক্রমণাত্মক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এটি সংসদীয় আচরণবিধির ব্যত্যয়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণরা বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান
বলেন, সংসদে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। সংসদে উপস্থিতি বেড়েছে। আইনপ্রণয়নের সময় বেড়েছে। বিলপ্রতি সময় বেড়েছে। কোরাম সংকট কিছু কমেছে। আগের তুলনায় প্রধান বিরোধী দল সক্রিয় হওয়া চেষ্টা করছে। তবে তাদের দ্বৈত ভূমিকা এখনো অব্যাহত আছে।
সাংবাদিকের প্রশ্নে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নবম সংসদের চেয়ে দশম সংসদ কার্যকর কি না, তা এখনই বলা যাবে না। বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, এই সংসদ অনেক বেশি কার্যকর-এই উপসংহারে যাওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে এখনো অনেক সন্দেহ রয়েছে।