৭১’ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন এবং যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন ভারতীয় সৈনিকদের শনিবার ম্যানেকশ’ সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্মাননা প্রদান করেছে।
এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ৭ জন ভারতীয় সৈনিকের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ভারতীয় শহীদদের রক্ত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহীদদের আত্মত্যাগ এ দুটি দেশেরই প্রজন্ম, থেকে প্রজমান্তরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী কিছু বিশেষ বন্ধুকে সম্মান জানানোর সুযোগ পাওয়ায় তিনি নিজেও সম্মানিত বোধ করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সৈনিকদের মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতি প্রদানের এটাই প্রথম পদক্ষেপ এবং এর মাধ্যমে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা জানানোর প্রক্রিয়াটা শুরু হলো।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষে শহীদদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি।’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ভারতের জনগণ এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অনেক বীর সৈনিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগ করেছেন।
আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১ হাজার ৬৬১ জন ভারতীয় সৈনিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১০ হাজার ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তি প্রদানসহ নানা সুযোগ–সুবিধা প্রদানের ঘোষণা দেন ।
বাংলাদেশএরআগেমহানমুক্তিযুদ্ধেঅবদানরাখায়উচ্চপদস্থসেনাকর্মকর্তা, রাজনৈতিকনেতৃবৃন্দ, কর্মী, সাংবাদিক, চিকিৎসকএবংকূটনৈতিকসহঅন্যান্যসকলশ্রেণী–পেশারভারতীয়নাগরিকদেরসম্মাননাজানায়।
২০১১সালেরজুলাইতেবাংলাদেশসরকারসর্বোচ্চবেসামরিকপুরস্কারস্বাধীনতাপদকেভূষিতকরেভারতেরসাবেকপ্রধানমন্ত্রীইন্দিরাগান্ধীকে। একই পক্রিয়ায় ভারতেরসাবেকপ্রধানমন্ত্রীঅটলবিহারীবাজপেয়ীএবংরাষ্ট্রপতিপ্রণবমুখার্জিকেসম্মাননাপ্রদানকরাহয়।