জীবনের রুটিনমাফিক কাজের বাইরে নানা ভাবেই তো আমরা আমাদের আনন্দ খুঁজে নিই। মোনা প্রিন্সও তাঁর অবসরকালীন আনন্দ বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। সুয়েজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের এই অধ্যাপিকা ফেসবুক লাইভে বেলি ড্যান্স প্রদর্শন করেন। তার পর সেই ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে হাজারো মানুষ শেয়ার করেন মোনার সেই ভিডিও। কিন্তু এ তো একটা দিক। অন্য দিকে সোশ্যাল সাইটেই বইতে শুরু করে দেয় তীব্র সমালোচনার ঝড়। এতটাই হইচই শুরু হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে।
অনেকে বলছেন, মোনা প্রিন্স মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে এই সব কাজ করছেন। কেউ বলছেন, একজন অধ্যাপক হিসাবে তাঁর কাছ থেকে এ রকম আচরণ কখনই কাঙ্খিত নয়। তাঁর কলেজের কোনও কোনও অধ্যাপকের মতো, মোনার মতিভ্রম হয়েছে। মোনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন তো বলেই দিলেন, ‘মিসেস প্রিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি ও মর্যাদা বিরোধী কাজ করছেন। এর আগেও তাঁর নামে অভিযোগ এসেছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উপর কড়া নজর রাখা হবে যে তিনি ছাত্রদের কেমন পড়ান। কতটা নিয়মানুবর্তীতা পালন করেন।’
মোনার সেই ভিডিওর এক ঝলক।
যাঁকে নিয়ে এত হইচই সেই মোনা প্রিন্স কী বলছেন? ফেসবুকেই তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘আমি কখনই গান, নাচ, হাসি, লেখা এসব ছেড়ে থাকতে পারব না। ছাত্র-ছাত্রীদের কেমন পড়াই তা তাদের রেজাল্টেই বোঝা যাবে।’ তবে এও জানিয়েছেন, চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনায় তিনি যথেষ্টই সন্ত্রস্ত। তদন্তে যে সুবিচার পাবেন সে বিষয়ে আশাবাদী প্রিন্স। তাঁর মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে বেরিয়ে তিনি কী করবেন তা কখনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দিতে পারেন না।সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা