মার্কিন মুলুকে ভারতীয় যুবক খুনের ঘটনায় টুইট করে মৃতের পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। শুক্রবার রাতে ওই খুনের ঘটনার পর নিহত যুবকের দাদা টুইট করে সুষমার থেকে সাহায্য চান। তার পরেই আমেরিকার সঙ্গে কথা বলে টুইট করেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী।
সুষমা লেখেন, ‘‘আমেরিকার তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। ওই ঘটনার রিপোর্ট আমি পেয়েছি। ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজও হাতে এসেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ। খুব তাড়াতাড়ি তারা ধরা পড়বে। মৃতের পরিবারের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখছে সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় কনসুলেট। মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’’
শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটন প্রদেশের ইয়াকিমা শহরে দোকানে কর্মরত অবস্থায় দুই আততায়ীর গুলিতে নিহত হন পঞ্জাবের বাসিন্দা বিক্রম জরিওয়াল। মাত্র ২৫ দিন আগে এই দোকানে কাজ পেয়ে বিক্রম আমেরিকায় গিয়েছিলেন। মুখোশ পরা দুই আততায়ী দোকানে হানা দিয়েছিল। দোকানের টাকার বাক্স নিয়ে চম্পট দেওয়ার সময় তারা বিক্রমকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। হাতপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। প্রাথমিক ভাবে এটাকে ডাকাতির ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে টাকার বাক্স পেয়ে যাওয়ার পরও কেন বিক্রমকে গুলি করা হল তা পুলিশকে ভাবাচ্ছে।
কিছু দিন আগে জাতিবিদ্বেষের জেরে কানসাস প্রদেশে এক প্রাক্তন মার্কিন নৌসেনার গুলিতে খুন হন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোটলা। কয়েক দিনের ব্যবধানে সাউথ ক্যারোলিনায় খুন হন প্রবাসী ব্যবসায়ী হার্নিশ পটেল। তার পর বিক্রমের খুনের ঘটনা। এর পিছনেও কোনও জাতিবিদ্বেষী মনোভাব কাজ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা