নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর নাম বিল ইংলিশ। তিনি ভোজনরসিক। পিৎজার সঙ্গে টিনজাত স্প্যাগেটি আর আনারস মিশিয়ে খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু এমন জগাখিচুড়ি নিয়ে ইতালীয় খাবারের ভক্তদের ঘোর আপত্তি। তাঁরা নিউজিল্যান্ডের সরকারপ্রধানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনায় মেতেছেন।
অচেনা স্বাদের খাবারটির ছবি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী চলতি সপ্তাহেই ফেসবুকে প্রকাশ করেন। পরিবারের সদস্যদের জন্যই তিনি ওই খাবার বানিয়েছিলেন। কিন্তু খাবারের শুদ্ধতাবাদীরা এটা মানতে নারাজ। তাঁরা এটা নিয়ে ইন্টারনেটে তাৎক্ষণিক হইচই শুরু করে দেন। প্রধানমন্ত্রীর রুচি নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। যেমন: ফেসবুকে একজন ইংলিশকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘কেন আপনি পৃথিবীতে এমন আবর্জনার প্রচার চালাচ্ছেন? বিদেশি অতিথিদের সামনে কি এটাই পরিবেশন করবেন?’
আরেকজন বলেছেন, ‘দুঃখিত বিল, যে মানুষ পিৎজার ওপর স্প্যাগেটি রাখে—সে আর যাই হোক, আমার দেশ চালানোর যোগ্য নয়। আপনি আগামী নির্বাচনে আমার ভোটটা হিসাবের বাইরে রাখবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের টক শো উপস্থাপক জিমি কিমেলও এই বিতর্কে নাক গলিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান, ‘এই প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণ করুন।’
দর্শকদের উদ্দেশে কিমেল বলেন, ‘এটা আপত্তিকর। এ নিয়ে রীতিমতো লড়াই বেধে যেতে পারে। আমি মনে করি তিনি (বিল ইংলিশ) ইতালীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং হয়তো হাওয়াইয়ের বিরুদ্ধেও।’
নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের ইতালীয় দূতাবাসও সমুচিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা নিউজিল্যান্ডে জনপ্রিয় খাবার পাভলভার সঙ্গে সালামি মিশিয়ে ছবি তুলে টুইটারে ছেড়ে দিয়েছে। সঙ্গে লিখেছে, এটা ‘প্রধানমন্ত্রীর পিৎজা ও স্প্যাগেটির মিশ্রণের প্রতিবাদ’।
যাঁকে নিয়ে এত কাণ্ড হচ্ছে, তিনি কী বলছেন? প্রধানমন্ত্রী বিল ইংলিশ এসব সমালোচনায় নির্বিকার রয়েছেন। তিনি দাবি করছেন, তাঁর ওই রেসিপি পছন্দও করেছে অনেকে। কেউ কেউ অখুশি হতেই পারে। তিনি অনেক জায়গায় গিয়ে লোকজনের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছেন। তারাও স্প্যাগেটির সঙ্গে আনারস ও পিৎজা মিশিয়ে খাচ্ছে।