স্টাফ রিপোর্টার :পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মুসলিম উম্মাহ পবিত্র হজ, ওমরা পালনে মসজিদুল হারামাইন ওয়াশ শরিফাইন তথা পবিত্র বাইতুল্লাহ এবং মদিনা মুনাওয়ারা জিয়ারতে যায়। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কথা চিন্তা করেই সৌদি কর্তৃপক্ষ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় পবিত্র কুরআনুল কারিম অনুবাদ করেছেন। এ বছর ৬ ভাষায় অনুবাদ করা হলো পবিত্র কুরআনুল কারিম।
এর আগের ৫৫টি ভাষার পবিত্র কুরআনুল কারিম অনুবাদ করা হয়। এ বছর নতুন যোগ হলো আরও ৬ ভাষায় অনূদিত কুরআন।
এবার যে সব ভাষায় কুরআনের অনুবাদ হয়েছে; তা হলো-
১. পুশতু (আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ইরানের প্রচলিত ভাষা);
২. তাজিক (তাজিকিস্তানের মূল ভাষা);
৩.ফুলানি (পশ্চিম আফ্রিকা ও মধ্য আফ্রিকার প্রায় ২০ দেশের প্রচলিত ভাষা);
৪. দ্যারি (আফগানিস্তানের ভাষা);
৫. ডাগবানি (ঘানার ভাষা) এবং
৬. নেপালি ভাষায় অনূদিত পবিত্র কুরআনের কপি মক্কা-মদিনার মসজিদের কুরআন রাখার তাকগুলোতে রাখা হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানান ভাষার মানুষ প্রতিদিনই সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি জিয়ারতে আসেন। আগত মুসলিমরা যেন হজ-ওমরা ও জিয়ারতের সময় অর্থসহ কুরআন অধ্যয়ন ও তাফসির পড়তে পারে, সে জন্যই এ ব্যবস্থা।
বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত কুরআন সম্পর্কে মসজিদে নববির তত্বাবধায়ক কমিটির প্রধান শেখ আবদুল্লাহ বিন সালিম আওফি বলেন, ‘মুসলিম জাহানের প্রধান দুই মসজিদ তথা মসজিদে নববি ও মসজিদুল হারামে আগত হজ-ওমরা ও জিয়ারতকারীদের সুবিধার্থেই পৃথিবীর প্রায় সব ভাষায় কুরআনের অনুবাদ করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।