দৃশ্যটা মুহূর্তের মধ্যে বুঝিয়ে দিল হাসিনার এই সফরের তাৎপর্য। আপ্লুত বাংলাদেশের মিনিস্টার প্রেস ফরিদ হোসেন বলতে ভুললেন না, ‘সকাল দেখলেই বোঝা যায় বাকি দিনটা কেমন যাবে। মোদিজির এই আসা বুঝিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর কতটা সফল হতে চলেছে।’
মন্ত্রী প্রণব মুখার্জির সরকারি বাংলোয় বহুবার এসে থেকেছেন হাসিনা। প্রণব মুখার্জি বিদেশমন্ত্রী ছিলেন যখন, বছর পাঁচেক আগে সেই সময় হাসিনা নিজের হাতে রান্না করে তাঁকে খাইয়েছিলেন। বড় ভাইয়ের মতো যাঁকে দেখেন, তাঁর জন্য ৩০ কেজি ইলিশ আনাটা এমন কিছু বড় কথা নয়। বড় কথা এটাই, সম্পর্কটা এক আধদিনের জন্য নয়; সম্পর্কটা চিরন্তন।
ইলিশ তো ‘সাধারণ’ উপহার, হাসিনা কি আর শুধু ইলিশেই আবদ্ধ থাকতে পারেন? রাষ্ট্রপতির জন্য তাই তিনি পাঞ্জাবিও এনেছেন। ধুতিও। স্ত্রী শুভ্রা যত দিন ছিলেন, প্রতিবারই তাঁর জন্য জামদানি শাড়ি এনেছেন। তাঁর প্রয়াণের পর শ্রদ্ধা জানাতে হাসিনা দিল্লি এসেছিলেন। এবার মেয়ে শর্মিষ্ঠার জন্য এনেছেন রাজশাহী সিল্কের শাড়ি। জামদানি ছেড়ে রাজশাহী সিল্ক এবারই প্রথম। আর এনেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত হরেক মিষ্টি।
হাসিনার উপহারের তালিকায় মিষ্টি ‘কমন’। যেমন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য ‘নরেন্দ্র মোদি’ নাম লেখা চামড়ার ব্যাগ ও পছন্দমতো মানানসই পাঞ্জাবি, চুড়িদার ও ‘জওহর কোট’-এর সঙ্গে মিষ্টি থাকছে। মিষ্টি তুলে দেবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর হাতেও। সেই সঙ্গে সোনিয়া ও কন্যা প্রিয়াঙ্কার জন্য এনেছেন ওই রাজশাহী সিল্কের শাড়ি। রাহুলকে দেবেন পাঞ্জাবি ও চুড়িদার।