ডেস্ক; আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিরিয়ায় বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত একটি শহরে সরকারি বাহিনীর কথিত রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি রণতরী থেকে সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ৫৯টি টমাহক ক্রুজ মিসাইল ছোড়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই বিমানঘাঁটি থেকে গত মঙ্গলবার রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে বসে ট্রাম্প বলেন, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ একজন একনায়ক। তিনি তাঁর দেশের নিরীহ বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ভয়ংকর রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছেন।
সিরিয়ায় চলমান হত্যাযজ্ঞ ও রক্তপাত অবসানে সব সভ্য দেশের সহযোগিতা চান ট্রাম্প।
বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে মঙ্গলবার সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্র হামলা হয়। হামলায় শিশুসহ অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
পেন্টাগনের ভাষ্য, সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি আগেই রাশিয়াকে জানানো হয়।
সিরিয়ার বর্তমান সরকারের মিত্র হিসেবে পরিচিত রাশিয়া। সিরিয়ায় চলমান সংঘাতে বাশারকে রাশিয়া সামরিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন নৌবাহিনীর ইউএসএস পোর্টার ও ইউএসএস রস থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সিরিয়ার শায়রাত বিমানঘাঁটি।
সিরীয় সরকারকে যাতে ফের রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালাতে না পারে, সে জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়ার সরকারবিরোধী গোষ্ঠী সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল।
কাউন্সিলের মুখপাত্র আহমেদ রামাদান বলেন, তাঁরা এমন আরও হামলা প্রত্যাশা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রর ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে আগ্রাসন হিসেবে বর্ণনা করেছে সিরিয়া।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আমেরিকা আগ্রাসন চালিয়েছে। তারা কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।