রাজশাহী; বাঘায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বাঘা থানা-পুলিশ। ওই নারী সদস্যকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন (৫৫) ও ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন (৪৫)।
রহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ভাষ্য, দুপুরে ইউপি কার্যালয়ে পাটের বীজ নিতে গিয়ে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর তিনি স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। লোকজন গিয়ে ওই কক্ষ তালা দেওয়া অবস্থায় পান। জানালা দিয়ে তাঁরা ভেতরে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন ও নারী ইউপি সদস্যকে দেখতে পান। তাঁরা তখন পুলিশে খবর দেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, আলাউদ্দিন ও তোফাজ্জল পালাক্রমে ওই নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। স্থানীয় লোকজন ঘেরাও করার কারণে চেয়ারম্যান আর সে সুযোগ পাননি। তবে আলাউদ্দিন ওই নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ করেছেন। পুলিশ ইউপি কার্যালয়ের ওই কক্ষ থেকে ধর্ষণের যথেষ্ট আলামত জব্দ করেছে। ঘটনার শিকার ওই নারীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আগামীকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
ওসি জানান, এ মামলায় ইউপি সদস্যকে এক নম্বর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে নারী ইউপি সদস্য উল্লেখ করেছেন, তাঁকে একটা কথা বলার জন্য ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন কক্ষের ভেতরে ডেকে নেন। আর বাইরে থেকে চেয়ারম্যান তালা লাগিয়ে দেন। এ অবস্থায় আলাউদ্দিন তাঁকে ধর্ষণ করেন।