রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহতাব উদ্দিনকে ইয়াবাসহ আটকের প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে তার সমর্থকরা। এতে ওই মহাসড়কে প্রায় ৪ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রীপুর ও মাওনা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
বৃস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সিএন্ডবি বাজার নামক স্থানে টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় জনতা।
আটককৃত মাহতাব উদ্দিন শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া গ্রামের জুবেদ আলীর ছেলে। সে মাওনা চৌরাস্তায় অবস্থিত বেতার-বিতান এন্ড সাউন্ড সিস্টেমের মালিক। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের অনুসারী বলেও জানা গেছে।
জামালপুর থেকে ঢাকার ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা হাফেজ রাকিবুল হাসান জানান, ৩টি বাসে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাওনা চৌরাস্তায় দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা অপেক্ষা করে এখন জামালপুরের উদ্দেশ্যে ফেরত যাচ্ছি। ঢাকার ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে যোগ দিতে আরো কয়েকটি পরিবহন ফেরত যেতে দেখা গেছে এবং ভোগান্তিতে পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ স্থানীয় মাহতাব উদ্দিন নামে একজনকে আটক করে। এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে লাঠি-সোটা নিয়ে স্থানীয় লোকজন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। সড়ক অবরোধের ঘটনায় শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল লতিফ, আইয়ুব হোসেন ভূইয়া, রনিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন জানান, মাহতাব এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রাতে ২শ’ ইয়াবাসহ মাহতাবকে আটক করা হয়।
পুলিশের এই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ।
তিনি বলেন, “মাহতাব উদ্দিন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সদস্য পদে তার নাম রয়েছে।
“মাহতাব মাদক বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নন। কেউ প্রমাণ দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।” এটা পুলিশের একটা বাণিজ্য বলে অভিযোগ করেন তিনি।