নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যদি কথায় কথায় চেয়ার থেকে তুলে দেয়া হয় তাহলে জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন কমে যায়। আর জনপ্রতিনিধিদের চেয়ারে বসতে না দিলে কিংবা তুলে দিলে ভোটের প্রয়োজনই বা কি? গনতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার জন্য সরকার গুলো যে আর্ত চিৎকার করে আসছে, দীর্ঘ সময় ধরে তারই বা কি অর্থ?
সম্প্রতি দেশের বিরোধী দল গুলোর মনোনীত জনপ্রতিনিধিদের চেয়ারে বসতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। চেয়ারে বসা নিয়ে লুকোচুরি খেলা চলছে। এই অবস্থা চলমান থাকা অবস্থায় নির্বাচনও হচ্ছে। চেয়ারে বসা নিরাপদ নয় জেনেও নির্বাচন করছেন বিরোধীরা। আর সরকার একের পর এক জনপ্রতিনিধিদের চেয়ার থেকে তুলে দিচ্ছেন। আর আদালত অভিযোগ শুনে চেয়ারে বসতে বলছেন। এই উঠ-বস খেলা চলতে থাকলে ভোট ও নির্বাচন অকার্যকর হয়ে যাবে। এ ছাড়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর দুটি নির্বাচন জনগনকে ভোট উৎসব থেকে সরিয়ে দিচ্ছে আস্তে আস্তে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে ভোট ভোট খেলা ও উঠ-বস খেলা বন্ধ হওয়া দরকার। না হলে গনতন্ত্র অপ্রয়োজনীয়
হয়ে পড়তে পারে।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম