গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী, ধর্ষক আটক

Slider নারী ও শিশু

DSC_0313(1)

 

 

 

 

 

রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার বানিয়ারচালা গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি পার্শ্ববর্তী বানিয়ারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার দাইরগাঁও এলাকার বাসিন্দা ও বানিয়ারচালা গ্রামের প্যারাগণ পোলট্রি ফার্মের কর্মচারী তোফায়েলের মেয়ে।

এ ঘটনায় বানিয়ার চালা গ্রামের শফিউদ্দিন মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ধর্ষণকারী দুলাল মিয়া(২৫)কে আটক করেছে জনতা। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার লালকুড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে।

ধর্ষীতার মা জানান, ধর্ষক দুলাল মিয়া ফেশন সফট কারখানার সুইং অপারেটর পদে চাকরি করেন ও তাদের থাকার ঘরের পাশে ভাড়া থাকেন। গত ৩মাস ধরে তার মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে। বেশ কিছুদিন ধরে মেয়ের শারিরীক পরিবর্তনে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি শারিরীক সম্পর্কের বিষয়টি তাকে জানায়।

বানিয়ারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে মেয়েটি তার শরীর খারাপ বলে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। দিন দিন তার শারিরীক পরিবর্তন দেখে স্কুল শিক্ষীকারা বিষয়টি নিয়ে তার সাথে খোলামেলা কথা বললে শিক্ষার্থী ধর্ষণের বিষয়টি শিক্ষকদের জানায়।

বানিয়ারচালা গ্রামের মোস্তফা কামাল জানান, খোকন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ধর্ষণের সাথে জড়িতের অভিযোগে ধর্ষক দুলালকে আটকে রাখা হয়। এ সময় হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহঃউপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন ধর্ষককে আটক না করে উল্টো বাড়ির মালিক খোকন মিয়াকে আটক করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় স্থানীয়রা বিক্ষোব্দ হয়ে পড়েন। সংবাদ পেয়ে সন্ধায় ঘটনাস্থল থেকে গাজীপুর সদর থানা পুলিশ ধর্ষককে আটক করে।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, ধর্ষককে সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *