বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতেই আজ কক্সবাজারে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩ দলের বোলাররা তাদের চাওয়াটা পুরোপুরি পূরণ হতে দেয়নি। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব ২৩ দল ৮ উইকেটে করেছে ২৩৩।
সাইফউদ্দিনের বলে এলবিডব্লু হয়ে ২০ রানের মধ্যে ফিরেছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমরান বাট ও ইমাম-উল-হক। ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই ১১তম ওভারে অফ স্পিনার নাঈম হাসানের শিকার হয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান (১২)। পরের ওভারে কোনো রান না করেই জাহিদ আলী বোল্ড বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকা পাকিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরান হারিস সোহেল। আবুল হাসান যদি তাঁর ফিরতি ক্যাচটা হাতে জমাতে পারতেন, ২২ ওয়ানডে ও ৪ টি-টোয়েন্টি খেলা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আউট হতে পারতেন ৪ রানেই।
হারিসকে দারুণ সঙ্গ দেন হাম্মাদ আজম। দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটি যোগ করে ৮৬ রান। আজমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আবুল হাসান। শর্ট মিডউইকেটে মুমিনুল হকের দুর্দান্ত ক্যাচ হওয়ার আগে আজমের রান ৩০। হারিস অবশ্য টিকে ছিলেন আরও কিছুক্ষণ। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের পর ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন হঠাৎই ধৈর্য হারিয়ে। নাসুমকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হওয়ার আগে করেছেন ১০৬ বলে ৬৩ রান।
হারিস ফেরার পর পাকিস্তানের অলআউট হওয়া সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু সাতে নামা হোসাইন তালাতের ৪৬ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সৌজন্যে সেটি তো হয়ইনি, পাকিস্তান নিজেদের রান নিয়ে রান নিয়ে যায় ২৩৩-এ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৩৩ (হারিস ৬৫, তালাত ৫৭*, আজম ৩০; সাইফউদ্দিন ৩/৫৪ , আবুল হাসান ২/৪০, নাসুম ২/৬২, নাঈম ১/৩০)।