শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার মামলায় সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান ও অপুকে আগামী ১৪ মে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন।
আজ নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেসুর রহমান সেলিম ওসমান ও অপুর পুরো নাম-ঠিকানাসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত আসামিদের ঠিকানায় সমন জারির আদেশ দেন।
যে ঠিকানায় সমন যাবে: এ কে এম সেলিম ওসমান। পিতা: এ কে এম শামসুজোহা, হিরা মহল, উত্তর চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ। আর অপু, পিতা সামসুর হক, নারায়ণগঞ্জ বন্দর।
আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৫৫ ও ৫০০ ধারায় দেওয়া বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সমন জারির আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাংসদ সেলিম ওসমান ও অপু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ বছরের ১৯ জানুয়ারি বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তবে প্রতিবেদনে তাঁদের কোনো ঠিকানা উল্লেখ না থাকায় ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ১৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারকে দুজনের ঠিকানা সংগ্রহ করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন—এমন অভিযোগ তুলে গত বছরের ১৩ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এলাকাবাসীকে স্কুলের মাঠে জড়ো হতে আহ্বান জানানো হয়। পরে একপর্যায়ে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে তাঁকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। পরে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।
এ ঘটনায় সেলিম ওসমান জড়িত কি না, সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে হাইকোর্ট প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠান।