চোখের জল কখন যেন শুকিয়ে গিয়েছে! ঠোঁটের কোণ বেয়ে রক্তের দাগ। অবিন্যস্ত চুলে ঢাকা মলিন মুখে এক রাশ বিষাদ। হাঁটু দুটো জড়ো করে দু’হাতে ধরা। সারা মুখে মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। দেওয়ালের এক কোণে বসে ‘ইন্দু সরকার’। মধুর ভাণ্ডারকরের আগামী ফিল্মে এ ভাবেই ধরা দিলেন ইন্দু থুড়ি কীর্তি কুলহারি। মঙ্গলবার ফিল্মের ফার্স্ট লুক-এ রিলিজ করলেন মধুর।
সত্তরের দশকে ২১ মাসের জরুরি অবস্থার পটভূমিকায় গড়ে উঠেছে ফিল্মের কাহিনি। সেই অস্থির সময়ে এক রক্ষণশীল পরিবারের গৃহবধূ ইন্দু। ‘পিঙ্ক’-এর ফলক আলি এ বার অন্য লড়াইয়ে নেমেছেন। সে লড়াই নিজের সঙ্গে। নিজের জন্য। সে লড়াইয়ের কাহিনিই ফুটে উঠেছে তাঁর লেখা কবিতায়। ফ্যাশন, ফিল্ম বা কর্পোরেট জগতের গল্প শোনানো মধুর এ বার তাঁর ফিল্মে জরুরি অবস্থার কথা জানাতে চান।
‘পিঙ্ক’-এ কীর্তি কুলহারি। ছবি: সংগৃহীত।
কেন?
মধুরের কথায়, “আমার মনে হয়, বর্তমান প্রজন্ম বোধহয় সে সময়কার কথা খুব ভাল করে জানে না।” আর তা জানাতেই এই ফিল্ম। ‘ইন্দু সরকার’-এ কীর্তির কাজে বেজায় খুশি মধুর। এতে কী কঠোর পরিশ্রমই না করেছেন কীর্তি— টুইটারে জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে আরও লিখেছেন, “পর্দায় এই চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলার জন্য ধন্যবাদ কীর্তি।”
গত ডিসেম্বরে টুইটারেই এই ফিল্মের পোস্টার রিলিজ করেছিলেন মধুর। গত মাসে শেষ হয়েছে এর শুটিং-ও। ৩১ বছরের কীর্তির সঙ্গে লিড রোলে রয়েছেন নীল নীতিন মুকেশ। সঙ্গে ইন্দিরা গাঁধীর ভূমিকায় সুপ্রিয়া বিনোদ।