মাশরাফি মুর্তজার অভিষেকের পাঁচ বছর পর নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। বারবার ইনজুরির কারণে আগে অভিষেক হওয়ার পরও সাকিবের চেয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি মাশরাফির। তবে অনেকদিন ধরে ম্যাচ খেলা এবং উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে সাকিব ও মাশরাফির মধ্যে অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাশরাফি কাল খেলেছেন নিজের ১৭১তম ওয়ানডে, সাকিব ১৬৮তম। ডাম্বুলায় প্রথম ওয়ানডে শেষে মাশরাফি ও সাকিবের শিকার ছিল সমান ২২১টি উইকেট। মঙ্গলবার সাকিবকে টপকে গেলেন মাশরাফি। এককভাবে তিনিই এখন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট (২২২) শিকারি। ১৫৩ ম্যাচে ২০৭ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক।
দ্বিতীয় ওডিআইতে উপুল থারাঙ্গা ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডে খেললেন। টস জয়ের হাসি দিয়ে শুরু হয় তার। কয়েন ভাগ্যের পর বললেন, ‘উইকেটে ঘাস থাকলেও ভালো ব্যাটিং উইকেট। ২৭০-২৮০ রান হওয়ার মতো।’ মাশরাফি দ্বিমত করলেন না। টাইগার অধিনায়কও জানালেন, টস জিতলে তিনিও ব্যাটিং নিতেন। বোলিংয়ে প্রথম ম্যাচে টানা দুই ওভারে দুটি মেডেন দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি।
এ দিন অবশ্য প্রথম ওভারেই তিনি দিয়ে ফেলেন নয় রান। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে দেন আরও ছয় রান। তৃতীয় বলে দানুশকা গুনাথিলাকা মাশরাফির স্লো ডেলিভারি খেলার আগে ব্যাট চালিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে দেন বল। বাংলাদেশের তিন ফিল্ডার দৌড়ান বলের দিকে। অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়ে শেষে বল গ্লাভসে নিলেন মুশফিক।
দিনের প্রথম উইকেট নিয়ে মাশরাফি টপকে যান সাকিবকে। এরপর সাকিব ১০ ওভার বোলিং করে ৫৯ রান দিয়ে উইকেট নিতে পারেননি। আর কোনো উইকেট পাননি মাশরাফিও। মাশরাফি ১০ ওভারে এক মেডেনে ৫৫ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট।
ওডিআইতে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ বোলার
বোলার ম্যাচ উইকেট ম্যাচসেরা ইকোনমি রেট
মাশরাফি মুর্তজা ১৭১ ২২২ ৬/২৬ ৪.৭০
সাকিব আল হাসান ১৬৮ ২২১ ৫/৪৭ ৪.৩৭
আবদুর রাজ্জাক ১৫৩ ২০৭ ৫/২৯ ৪.৫৬
মোহাম্মদ রফিক ১২৩ ১১৯ ৫/৪৭ ৪.৩৯
রুবেল হোসেন ৬৯ ৮৮ ৬/২৬ ৫.৬৩
(মাশরাফি মুর্তজা দুটি ম্যাচে খেলেছেন এশিয়া একাদশের হয়ে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে)