মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা যে নেহাতই সাধারণ মানের একটি দল, সেটি আবারও প্রমাণিত হলো। লাপাজে বলিভিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের অবস্থান দুর্বল করে তুলল তারা। এমনিতেই হাভিয়ের মাচেরানো, লুকাস বিগলিয়া আর গঞ্জালো হিগুয়েইনকে ছাড়া কিছুটা দুর্বল দল নিয়ে বলিভিয়া গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তার ওপর চিলির বিপক্ষে আগের ম্যাচে এক ফিফা কর্মকর্তাকে অশ্রাব্য গালি দিয়ে ৪ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হলেন লিওনেল মেসি। ভাঙা এক দল নিয়ে বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজের উচ্চতার বৈরিতা আর তেড়েফুঁড়ে খেলা স্বাগতিকদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি এদগার্দো বাউজার দল।
খেলার দুই অর্ধে দুটি গোল করেই বাজিমাত বলিভিয়ার। গোটা ম্যাচে রক্ষণ দুর্বলতায় ভোগা আর্জেন্টিনার হারের মূল কারণ এটিই। বলিভিয়ার কৃতিত্বকে খাটো করে দেখার কোনো কারণ নেই। আর্জেন্টিনার দুর্বলতায় প্রাপ্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই জয়টা তুলে নেয় তারা। বলিভিয়ার পক্ষে গোল দুটি করেন হুয়ান আর্চে ও মার্সেলো মার্টিনস।
মেসির নিষেধাজ্ঞায় যেন উদ্বুদ্ধ হয়েই মাঠে নেমেছিল বলিভিয়া। শুরু থেকেই আর্জেন্টনার সীমানায় আনাগোনা শুরু করে তাদের ফরোয়ার্ডরা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এস্তাদিও হার্নান্দোয় আর্জেন্টাইন দলের খেলায় ক্লান্তর ছাপ দেখা যায় ম্যাচ আধা ঘণ্টা না পেরোতেই। ৩১ মিনিটেই পাবলো এসকোবারের দুর্দান্ত এক ক্রস থেকে হেড কের আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠান হুয়ান আর্চে।
আর্জেন্টিনার জন্য পুরো ব্যাপারটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে এভারটনের ডিফেন্ডার ফুনেস মোরি হাঁটুর চোটের কারণে মাঠ ছাড়লে। রক্ষণভাগ হয়ে পড়ে আরও অনেক বেশি দুর্বল।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার শুরুটা ছিল খুবই বাজে। মাতেও মুসাচ্চিওকে বোকা বানিয়ে হোর্হে ফ্লোরেস যে ক্রসটা আর্জেন্টিনার গোলমুখে ফেলেন তা জালে জড়াতে একটুও বেগ পেতে হয়নি মার্সেলো মার্টিনসের। বিস্ময়টা এটিই গোল করার আগে মার্টিনস ছিলেন পুরোপুরি অরক্ষিত অবস্থায়।
এই হারে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাতিন অঞ্চলে আর্জেন্টিনার অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়ল। অপর দুটি ম্যাচে চিলি ৩-১ গোলে ভেনেজুয়েলা আর কলম্বিয়া ২-০ গোলে ইকুয়েডরকে হারানোয় আর্জেন্টিনার অবস্থান এখন পঞ্চম। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।