ঢাকা; ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান খল অভিনেতা মিজু আহমেদ আর নেই। সোমবার সন্ধ্যায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
চলচ্চিত্র পরিচালক আহমেদ ইলিয়াস ভূইয়া জানান, গতমাসে শুরু হওয়া ‘মানুষ কেন অমানুষ’ ছবির শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে সোমবার রাতে ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেনে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন মিজু আহমেদ। আহমেদ ইলিয়াস ভূইয়া নিজেই ওই ছবি পরিচালনা করছেন। ট্রেনে পরিচালক কাজী হায়াৎ ও অভিনেত্রী রেহানা জলিও ছিলেন। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি বিমানবন্দর রেলস্টেশনে পৌঁছলে মিজু আহমেদ বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। পরে কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মিজু আহমেদ মারা গেছেন।
১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান মিজু আহমেদ। শৈশব থেকেই অভিনয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই বড় পর্দার অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন। তার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস মুভিজ। এ পর্যন্ত ৮০০-এর অধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনিত উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় রয়েছে তৃষ্ণা, চাকর, ত্যাগ, বশিরা, হাঙর নদী গ্রেনেড, কুলি, লাঠি, কষ্ট, ইতিহাস ও ক্রাইম রোড। তৃঞ্চা ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
মিজু আহমেদের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৭ই নভেম্বর কুষ্টিয়ায়। স্ত্রী পারভীন আহমেদ, দুই মেয়ে কেয়া ও মৌ এবং ছেলে হারশাতকে নিয়ে তার পরিবার।
মিজু আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ হল মালিক ও প্রদর্শন সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
মিজু আহমেদের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৭ই নভেম্বর কুষ্টিয়ায়। স্ত্রী পারভীন আহমেদ, দুই মেয়ে কেয়া ও মৌ এবং ছেলে হারশাতকে নিয়ে তার পরিবার।
মিজু আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ হল মালিক ও প্রদর্শন সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।