দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের করা আপিলের ওপর আজ বৃহস্পতিবার রায় হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এরশাদের আপিল ছাড়াও এ বিষয়ে সরকারের করা দুটি আপিল বিচারাধীন থাকায় আজ রায় দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য তিনটি আপিল আবেদনই প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির ওই মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্টের এরশাদের সাজা বাড়ানোর জন্য ১৯৯২ সালে দুটি আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদন দুটি নজরে আসলে রায় ঘোষণা না করে আবেদনগুলো প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান হাইকোর্ট। এখন তিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন বলে জানান খুরশীদ আলম।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদ ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন।