কপিলের শো থেকে বেরিয়ে গেলেন সুনীল, আলি আসগর, চন্দন প্রভাকর?

Slider বিনোদন ও মিডিয়া সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

image

 

 

 

 

 

প্রকাশ্যেই ক্ষমা চেয়েছিলেন কপিল শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুনীল গ্রোভারকে ট্যাগ করে লিখেছিলেন, তাঁর ভুল হয়েছে। কিন্তু তাতে বোধহয় মন গলেনি সুনীলের। কারণ সূত্রের খবর, মাঝ আকাশের কপিলের মারধরের বদলা নিয়ে এ বার ‘দ্য কপিল শর্মা’-শো বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন ওই শোয়ের ‘ডক্টর গুলাটি’ ওরফে সুনীল। এমনকী এই শো থেকে নাকি বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।

তবে সুনীল একা নন, তাঁর সঙ্গে অভিনেতা আলি আসগর, চন্দন প্রভাকরও ওই শো-থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শো-এর সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘সুনীলের সঙ্গে আলি ও চন্দনও শো ছেড়ে দিয়েছেন। ওঁদের জায়গায় সুনীল পাল, রাজু শ্রীবাস্তব এবং এহসান কুরেশিকে রাজি করানো হয়েছে। এ বার ওই জায়গায় দেখা যাবে এই নতুন অভিনেতাদের।’’

অন্য দিকে ‘নাম শাবানা’র সেট থেকে চন্দন বললেন, ‘‘আমি কপিলের শো-এর শুটিং আর করব না। ওঁরা আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি বলেছি, এখন আমার সময় নেই।’’ সুনীলের ক্ষেত্রে অবশ্য বলি মহলের অন্য একটি সূত্র বলছে, তিনি নাকি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে পারিশ্রমিক বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। সে কারণেই এই মুহূর্তে শুটিংয়ে গরহাজির। কিন্তু একটা বড় অংশ মনে করছেন, ওই ঘটনার পর সুনীল আর কপিলের সঙ্গে কাজ করতে রাজি নন। সে কারণেই এই শো থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি। কপিলের সে দিনের আচরণ আলি ও চন্দনের কাছেও খুব আপত্তিকর মনে হয়েছে। সে কারণেই তাঁরাও শো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কপিল শর্মা। শুধু পারফর্মার নন। শুধু কমেডিয়ানও নন। সুনীলের কাছে কপিল আসলে দীর্ঘ দিনের বন্ধু। বহু বছরের সহকর্মী। সেই চেনা মানুষটাই সে দিন হঠাত্ই যেন পাল্টে গিয়েছিলেন। রেগে গিয়েছিলেন বিমানের মধ্যেই। মদ খেয়ে তাঁর গায়েও নাকি হাত তোলেন! এ সব অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বাঁদিক থেকে চন্দন, সুনীল ও আলি। ছবি: সংগৃহীত।

কপিল কখনও বা সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেছিলেন, ভাল কাজের স্বার্থে ঝগড়া হতেই পারে। কখনও লিখেছিলেন, “আমি দুঃখিত সুনীল। অনিচ্ছাকৃতভাবে তোমাকে আঘাত করে ফেলেছি। তুমি খুব ভাল ভাবে জান, তোমাকে কতটা ভালবাসি। আমিও আপসেট হয়ে রয়েছি।”

এত সব কিছুর পরে ওয়েব ওয়ার্ল্ডেই কপিলকে খোলা চিঠি লেখন সুনীল। ‘…আমাকে গভীর ভাবে আঘাত করেছ তুমি। তোমার সঙ্গে কাজ করা মানে একটা শেখার অভিজ্ঞতা। শুধু একটাই উপদেশ, সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, যে দরদ তুমি পশুদের ওপর দেখাও, সেটা মানুষের ওপরও দেখানো উচিত। …ওটা যে তোমার শো সেটা আমাকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *