দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইকে ১৪ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সরকারী কৌঁসুলিরা। এক দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ কেলেঙ্কারির জের ধরেই তাকে অভিশংসিত হতে হয়। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পার্ক। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ঘনিষ্ঠ বান্ধবী চৈ সুন-সিলকে দেশের বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ আদায়ের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হতে পারে। চৈ সুন-সিলের বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে সরকারী কৌঁসুলির কার্যালয়ে পৌঁছে পার্ক জিউন-হাই সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে স¤পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। কর্মকর্তারা বলেন, এই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয় গভীর রাতে। কিন্তু এ সময় নিজের উত্তর না দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করেননি তিনি। অর্থাৎ, তিনি নিজেই জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি কৌঁসুলির কার্যালয় ত্যাগ করেননি। তার বক্তব্যের লিখিত অংশ ঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা, তার সত্যতা যাচাই বাছাই করে তিনি বাড়ি যাবেন।
কৌঁসুলিদের প্রশ্ন করা হয়, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে কিনা। জবাবে তারা বলেন, আপাতত জিজ্ঞাসাবাদেই মনোযোগী হচ্ছেন তারা। খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা করা হয়। তখন রাজি হননি তিনি। তবে দেশের সাংবিধানিক আদালত পার্লামেন্টের অভিশংসনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখার পর তার দায়মুক্তির ইতি ঘটে। পার্কের একজন আইনজীবী বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের বিরতিতে একজন ডাক্তার তার চেক-আপ করছিলেন। কারণ, তার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুব ভালো নয়।